পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ . লক্ষণ-সেন এখনই তাহার উপযুক্ত দণ্ড বিধান করিতেছি। আপনি আমার পূজ্য ; সুতরাং এ রাজ্যের সকলেরই পূজ্য। আমার রাজ্য-মধ্যে আপনাকে মনঃকষ্ট দেয়, এমন দুঃসাহস কাহার হইল ? আমার অপরাধ মার্জন করুন | আপুনি যে দণ্ডের বিধান করিবেন, আমি সেই দণ্ডেরই ব্যবস্থা করিব।” ব্রাহ্মণের ক্ৰন্দন থামিল না। ব্রাহ্মণ বাষ্পগদগদ কণ্ঠে কহিলেন—“মহারাজ ! আমার সৰ্ব্বনাশ হইয়াছে !” মহারাজ কিছুই বুঝিতে পারিলেন না। ব্রাহ্মণের প্রতি এমন দুব্যবহার কি হইল যে, তিনি সৰ্ব্বনাশ হইল বলিয়া অনুশোচনার আশ্রজলে বক্ষ প্লাবিত করিতেছেন ! যে কথা জিজ্ঞাসার জন্য মহারাজ বাগ্র হইয়া শ্ৰীধর মিশ্রের নিকট গমন করিয়াছিলেন, সে কথা জিজ্ঞাসা করার আর র্তাহার অবসর হইল না । 'ব্রাহ্মণ কেন এমন কথা বলিতেছেন ??—এখন সেই ভাবনাই তাহার মনকে অধিকার করিয়া বসিল । মহারাজ অধিকতর ব্যগ্রভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন,—“কি হইয়াছে, আমায় স্পষ্ট করিয়া বলুন। আমি প্রাণ দিয়াও যদি আপনার কষ্টের লাঘব করিতে পারি, তাহাতেও কুষ্ঠিত হইব না।” মহারাজের এবম্বিধ সৌজন্যে ঐধর মিশ্র অধিকতর বিচলিত হইয়া পড়িলেন। তিনি পূৰ্ব্বধং কাদিতে কাদিতে কহিলেন,— “মহারাজ ! আপনার এত দয়া না হইলে, আপনি বঙ্গ-বিহারউড়িষ্যার আধিপত্য লাভ করিতে পাfরবেন কেন ? কিন্তু আপনার রাজত্বে বাস করিয়া, আপনার বাড়িতে নিমন্ত্রণে আসিয়া, আমার অদৃষ্টে এই ঘটিল!”