পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 লক্ষণ-সেন । AMAeAM SMAMAMAMAMMMMAAAS পতির নাম উল্লেখ করিয়াছিল। কিন্তু রাজা জয়সিংহ তাহাতে কৰ্ণপাত করেন নাই। কেন্দুবিশ্ব গ্রামের অধিবাসী, মহারাজের প্রজা ভোজদেব, তাহাকে ও র্তাহার সহধৰ্ম্মিণীকে কাশীধামে পৌছাইরা দিবার জন্ত, অনেক কাকুতি-মিনতি করিয়াছিলেন। কিন্তু রাজা জয়সিংহ তাহাতে বিদ্রপোক্তি করিয়া বলিয়াছিলেন, —“তোমরা নবদ্বীপাধিপতির তত্ত্বাবধানের উপর নির্ভর করিয়া তীর্থযাত্রায় অগ্রসর হইয়াছ ; যদি তাহার ক্ষমতা থাকে, তিনি আসিয়া তোমাদিগের উদ্ধার-সাধন করিতে পারেন ।” “তীর্থর্যাত্ৰিগণের অবরোধের সংবাদ যখন আমার নিকট আসিয়া উপস্থিত হয়, আমি রাজা জয়সিংহের সহিত সাক্ষাৎ করি। কেন্দুবিশ্ববাসী ভোজদেব আমার সম্মুখেই রাজা জয়সিংহের নিকট কাকুতি-মিনতি জানাইতেছিলেন। রাজা জয়সিংহ ৰ্তাহাকে যে উত্তর দেন, তাহাতে আমি অপমান বোধ করি এবং দুই এক কথা বলিবার চেষ্টা পাই। কিন্তু কিছু বলিবার পূৰ্ব্বেই তিনি আমাকে বন্দী করিবার আদেশ দেন। আমার শরীর-রক্ষিগণ আমাকে উদ্ধারের জন্য প্রস্তুত ছিল ; আমি ইঙ্গিত করিলে, আমার উদ্ধারের জন্য তাহারা প্রাণদানে কুষ্ঠিত হইত না ; কিন্তু রাজা জয়সিংহের সৈন্যবল প্রভৃতির বিষয় বিবেচনা করিয়া অকারণ কয়েকজন নিরীহ ব্যক্তির বিনাশ-সাধন কর্তব্য নহে বুঝিয়া, আমি তাহাদিগকে নিরস্ত হইত্তে পরামর্শ দিই। ফলে আমার রক্ষিসৈন্তগণও বন্দী হইয়াছে। অন্যান্য ঘটনা পত্রবাহক দূতের মুখে অবগত হইবেন।” পত্ৰখানি পাঠ করিয়া রঘুদেব আরও বলিলেন,—“আর একটী ঘটনার বিষয় উল্লেখ করিতেছি। মহারাজের অনুষ্ঠত সারস্বত