পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

QS) লক্ষণ-সেন র্তাহাদের মানসপটে উদিত হইয়া পদ্মাবতীকে পুরুষোত্তমে লইয়৷ যাইবার ব্যগ্রতা বৰ্দ্ধিত করিতেছিল। কিন্তু পুরুষোত্তমে পৌছিয়। আবার ভাবান্তর উপস্থিত। পথে আসিতে অসিতে মনে হইতেছিল, দসু্য কর্তৃক অপহৃত ললিতার কথা ! পথে আসিতে আসিতে মনে হইতেছিল,— ব্যাঘ্র-গ্রাসে নিপতিত বালকের বিষয় ! পথে আসিতে আসিতে মনে হইতেছিল,—পিতামাতার ক্রোড়ে বালিকার বিস্তুচিকায় মৃত্যুকাহিনী ! যতই ঐ সকল ঘটনা মনোমধ্যে উদয় হইতেছিল, কাত্যায়নী ততই যুক্ত করে জগবন্ধুকে ডাকিতেছিলেন; ততই প্রার্থনা জানাইতেছিলেন,—“হে জগন্নাথ! হে জগতের পতি ! এ বিপদে আমাদিগকে রক্ষা কর । আমরা যেন পদ্মাবতীকে প্রাণে প্রাণে লইয়া গিয়া তোমার চরণে সমর্পণ করিতে সমর্থ হই ।” কিন্তু কাত্যায়নী এখন সে সকল কথা ভুলিয়া গিয়াছেন। এখন তাহার এক চিন্তা—কোন প্রাপে পদ্মাবতীকে পরিত্যাগ করিয়া যাইবেন । তিনি প্রথম যে দিন জগবন্ধুকে দর্শন করিতে গেলেন, তাহার আর কোনও প্রার্থনা জানাইবার শক্তি হইল না ; তিনি কেবল এই প্রার্থনা জানাইলেন—“হে জগবন্ধু ! আমার অঞ্চলের নিধি আমার অঞ্চল হইতে ছিনাইয়া লইও না।” তিনি যে দিন সাগরে স্নান করিতে গেলেন, প্রার্থনা জানাইলেন,—“হে অনন্ত ! তোমার অনন্তু ক্রোড়ে কি আমার স্থান নাই ? যদি পদ্মাবতীকে লইতে হয়, আগে অামায় লও, পরে পদ্মাবতীকে লইও ।” - হৃষীকেশ কত বুঝান ; কিন্তু কাত্যায়নী কোনও কথাই শুনিতে চাহেন না । কাত্যায়নী বলেন,—“আগে আমি সাগরে