পাতা:লালন-গীতিকা.djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
লালন-গীতিকা

চুল পেকে হলে বুড়ো হুড়ো
না পেলে পথের মুড়ো
লালন বলে, সন্ধি জেনে
না পেলে জল নদীর ঠাঁই॥

১১

যেতে সাধ হয়রে কাশী কর্ম-ফাঁসি বাধে গলায়।
আমি আর কতদিন ঘুরবো এমন নাগর-দোলায়॥
হলো রে একি দশা সর্বনাশা মনের ভোলায়।
ডুবলে ডিঙ্গে নিশ্চয় বুঝি জন্মশালায়[১]
বিধাতা দেয় বাজি কিবা মন পাজী
হয়ে ফেরে ফেলায়।
বাওনা বুঝে বাই তরণী ক্রমে তলায়॥
কলুর বলদ যেমন তাকে[২] নয়ন পাকে চালায়।
অধীন লালন প’লো তেমনি পাকে হেলায় হেলায়॥

১২

কি করি কোন পথে যাই, মনে কিছু ঠিক পড়ে না।
দোটানাতে ভাবছি[৩] বসে[৩] ঐ ভাবনা॥
কেউ বলে মক্কায় যেয়ে হ’জ করিলে যাবে গোনা।
কেউ বলিছে মানুষ ভজে মানুষ হ’না॥
কেউ বলে পড়লে কালাম পায় সে আরাম ভেস্তেখানা।
কেউ বলে ভাই ও সুখের ঠাঁই কায়েম রয় না॥
কেউ বলে মুরশিদের ঠাঁই খুঁজিলে পাই আধ ঠিকানা।[৪]
লালন ভেড়ে না বুঝিয়ে হয় দোটানা॥

  1. জন্মনালায়
  2. ঢাকে
  3. ৩.০ ৩.১ পড়ে ভাবি
  4. ঠেকেনা