পাতা:লালন-গীতিকা.djvu/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ভূমিকা

বাঙলার বাউল এবং বাউল-গান সম্বন্ধে শিক্ষিত বাঙালীর মনে একটা শ্রদ্ধা ও ঔৎসুক্য দেখা দিয়াছে। ইহার মূলে রহিয়াছেন মুখ্যভাবে রবীন্দ্রনাথ ও বিশ্বভারতীতে র্তাহার সহকমী আচার্য ক্ষিতিমোহন সেন মহাশয় । শিলাইদহে অবস্থান-কালে রবীন্দ্রনাথ পল্লীগায়কদের মুখে এই বাউল-গান শুনিতে পান ; সুরে ও ব্যঞ্জনায় গানগুলি রবীন্দ্রনাথের কবিচিত্তে গভীর প্রভাব বিস্তার করিয়াছিল। আসলে রবীন্দ্রনাথের মধ্যে একটি ‘নবীন বাউলের বসতি ছিল, রবীন্দ্রনাথের গানের মধ্যে সেই বাউলের গৃঢ় পরিচয় নিহিত আছে। পত্রপুটের একটি কবিতায় কবি স্পষ্ট করিয়া বলিয়াছেন,—‘কবি আমি ওদের দলে,— । রবীন্দ্রনাথের কাছে এই ওদের পরিচয় কি ?—

ওরা অস্ত্যজ, ওরা মন্ত্রবর্জিত।
দেবালয়ের মন্দিরদ্বারে
পূজা-ব্যবসায়ী ওদের ঠেকিয়ে রাখে।
ওরা দেবতাকে খুজে বেড়ায় তার আপন স্থানে
সকল বেড়ার বাইরে
সহজ ভক্তির আলোকে,
 নক্ষত্রখচিত আকাশে,
পুষ্পখচিত বনস্থলীতে,
দোসর জনার মিলন-বিরহের
 গহন বেদনায় ।
যে-দেখা বানিয়ে দেখা বাধা ছাচে,
প্রাচীর ঘিরে দুয়ার তুলে',
সে-দেখার উপায় নেই ওদের হাতে।
কতদিন দেখেছি ওদের সাধককে
একলা প্রভাতের রৌদ্রে সেই পদ্মানদীর ধারে,