পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮০ লিপিক। বৃহস্পতি। আর আমি নেই বলেই ত মানুষ কেবল ব্যবহারের জন্যে জ্ঞানের সাধনা করচে, মুক্তির জন্তে নয় । f ইন্দ্র । তোমরা সেখানে যাবে আমি ত তারই উপায় করতে চলেচি—সময় হ’লেই তোমরা পরিণত ফলের মত আপন মাধুৰ্য্যভারে সহজেই মৰ্ত্ত্যে স্বলিত হয়ে পড়বে। সে পৰ্য্যন্ত অপেক্ষা কর । কাৰ্ত্তিকেয়। কখন টের পাব, মহেন্দ্র, যে আপনার সাধনা সার্থক হ’ল ? বৃহস্পতি। সে কি আর চাপ থাকবে ? যখন জয়শঙ্খধ্বনিতে স্বৰ্গলোক কেঁপে উঠবে তখনি বুঝব যে— ইন্দ্র । না, দেবগুরু, জয়ধ্বনি উঠবে না । স্বর্গের চোখে যখন করুণার অশ্রু গলে পড়বে তখনি জানবেন পৃথিবীতে আমার জন্মলাভ সফল হ’ল। কাৰ্ত্তিকেয়। ততদিন বোধ হয় জানতে পারব না, সেখানে ধূলার আবরণে আপনি কোথায় লুকিয়ে আছেন। বৃহস্পতি। পৃথিবীর রসই ত হ’ল এই লুকোচুরিতে। ঐশ্বৰ্য্য সেখানে দরিদ্র-বেশে দেখা দেয়, শক্তি সেখানে অক্ষমের কোলে মানুষ হয়, বীর্য্য সেখানে পরাভবের মাটির তলায় আপন জয়স্তম্ভের ভিত্তি খনন করে । সম্ভব সেখানে অসম্ভবের মধ্যে বাসা করে? থাকে। যা দেখা দেয়, পৃথিবীতে তাকে মানতে গিয়েই