এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬০
লিপিকা
চুপ করে’ বসে’ সেই চিত্রটা দেখ্তে লাগল। তার বয়সে এই সে প্রথম এমন কিছু দেখেচে যার কোনো মানে নেই।
তার পরদিন যখন সে উৎসতলায় এল, তখন তার দুটি পায়ের ব্যস্ততায় একটু যেন বাধা পড়েচে। পা দুটি যেন চল্তে চল্তে আন্-মনা হয়ে ভাব্চে— যা ভাব্চে তার কোনো মানে নেই।
সেদিনও বেকার মানুষ একপাশে দাঁড়িয়ে।
মেয়েটি বল্লে, “কি চাও?”
সে বল্লে, “তোমার হাত থেকে আরো কাজ চাই।”
“কি কাজ দেব?”
“যদি রাজি হও, রঙীন সুতো বুনে বুনে তোমার বেণী বাঁধ্বার দড়ি তৈরি করে’ দেব।”
“কি হবে?”
“কিছুই হবে না।”
নানা-রঙের নানা-কাজ-করা দড়ি তৈরি হল। এখন থেকে আয়না হাতে নিয়ে বেণী বাঁধ্তে মেয়ের অনেক সময় লাগে। কাজ পড়ে থাকে, বেলা বয়ে যায়।
৪
এ দিকে দেখতে দেখতে কেজো স্বর্গে কাজের