পাতা:লুকোচুরি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
দারােগার দপ্তর, ১৯৬ সংখ্যা।




মৃত্যু-সংবাদ প্রদান করিয়াছিলেন, তত্রাপি যখন আমার স্ত্রী তাঁহাকে দেখিতে ইচ্ছা করেন, তখন তাঁহারা কৌশলে বিমলাকে সান্ত্বনা করিয়াছিলেন। আমার স্ত্রী বলেন, তিনি মারা পড়েন নাই—নিশ্চয়ই আমার শ্যালকদিগের মত অদৃশ্য হইয়াছেন। কিন্তু পাছে বিমলা ভীত হন, এই ভয়ে ও সকল কথা বলেন নাই।

 আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনার স্ত্রীর তখন বয়স কত?”

 অ। প্রায় তের বৎসর।

 আ। তাঁহার পিতার মৃত্যু হইল কি না তিনি সহজেই জানিতে পারিতেন। তিনি ত একাই তাঁহার পিতার নিকট থাকিতেন।

 অ। আজ্ঞে হাঁ,—একাই থাকিতেন বটে, কিন্তু তখন কোন প্রতিবেশীর বিবাহ উপলক্ষে বিমলাকে কয়েক দিনের জন্য সেখানে যাইতে হইয়াছিল। যখন বাসায় ফিরিয়া আসিতেছিলেন, সেই সময়ে তাঁহার পিতার মৃত্যু-সংবাদ প্রাপ্ত হইলেন।

 আ। তাহা হইলে আপনার শ্বশুর ও দুইজন শ্যালক ঐরূপে অদৃশ্য হইয়াছেন। তাঁহাদের কি হইয়াছে অনুমান করিতে পারেন কি?

 আ। আজ্ঞে আমিতো সামান্য বুদ্ধির লোক, কেমন করিয়া বলিব? তবে যতদূর বুঝিতে পারা যায়, তাহাতে দেখিতেছি, তাঁহারা আর এ জগতে নাই। যদি থাকিতেন, তাহা হইলে এত দিন অতীত হইল তিনজনের কেহ কি ফিরিয়া আসিতে পারিতেন না?

 আ। আপনার স্ত্রী কি বলেন?

 অ। তিনি আর বলিবেন কি? যখন তাঁহার খুড়ীর মুখে ঐ