পাতা:লুকোচুরি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
লুকোচুরি।
১৩




সকল কথা শুনিলেন, তখন তিনি চীৎকার করিয়া কাঁদিয়া উঠিলেন। বলিলেন, এইবার তাঁহার পালা আসিয়াছে, এবং সেই অবধি নিতান্ত দুঃখিতভাবে কালযাপন করিতেছেন। এখন আপনি আমাদের ভরসা।


দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।

◇◇◇◇◇◇

 অনাথনাথের মুখে সমস্ত কথা শুনিয়া আমি অত্যন্ত আশ্চর্য্যান্বিত হইলাম। এতকাল পুলিসের চাকরি করিতেছি, কত গুরুতর কাণ্ড স্বচক্ষে দেখিয়াছি, কিন্তু কই, এমন অদ্ভুত কথা ত কখনও শুনি নাই? এত জন্তু থাকিতে শূকর-মূর্ত্তি কেন অঙ্কিত হইল, আর কেই বা অনাথবাবুর শ্বশুরকে ঐ স্বর্ণনির্ম্মিত শূকরটী প্রদান করিল? কি জন্যই বা তাঁহাকে উহা প্রদত্ত হইল?

 এই প্রকার নানা প্রশ্ন আমার মনোমধ্যে উদয় হইল। আমি কিছুক্ষণ ঐ বিষয় ভাবিলাম কিন্তু কোন প্রকার উত্তর বাহির করিতে পারিলাম না। তখন অনাথনাথকে বলিলাম, “আপনার মুখে যাহা শুনিলাম, তাহা বড়ই অদ্ভুত। আর কখনও এরূপ ব্যাপার আমায় কর্ণগােচর হয় নাই। কিন্তু সে যাহাই হউক, আমি এখন যেরূপ বুঝিতেছি, তাহাতে আমার বিশ্বাস যে, সম্প্রতি আপনার স্ত্রীর কোন বিপদের সম্ভাবনা নাই। আপনার নিজের ইহাতে কোন ভয়ের কারণ নাই। ব্যাপার অতি গুরুতর হইলেও আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করিব এবং যাহাতে শীঘ্রই ইহার মর্ম্ম উপলব্ধি