লুকোচুরি।
১৯
সম্বন্ধে তাঁহারা অনাথনাথের শ্বশুর মহাশয়ের কোন প্রকার অপকার করিতে সক্ষম না হইয়া গোপনে কার্য্য আরম্ভ করিলেন। এই কারণেই তিনি বর্দ্ধমান জেলা হইতে সহসা পলায়ন করিয়া কলিকাতায় আসিয়াছিলেন।
এইরূপ চিন্তা করিয়া আমি আবার ভাবিলাম, যদি তাহাই হয়, তবে সোণার শূকরটী কোথা হইতে, কেমন করিয়া, অনাথবাবুর স্ত্রীর হস্তে পড়িল? শূকরটী নিশ্চয়ই তিনিই প্রস্তুত করাইয়াছিলেন। উহা যে স্বর্ণ নির্ম্মিত, তাহা দেখিয়া স্পষ্টই বোঝা যায় যে, উহা এইখানেই প্রস্তুত। কিন্তু যে আদর্শ দেখিয়া ঐ মূর্ত্তি গঠিত হইয়াছে, তাহা এদেশের আদর্শ নহে। এদেশের শূকরগুলি ওরূপ হৃষ্টপুষ্ট ও দেখিতে এত পরিষ্কার হয় না। এই সকল ব্যাপার চিন্তা করিয়া আমি মনে করিলাম, অনাথবাবুর শ্বশুর মহাশয় এই আদর্শমত শূকর প্রতিপালন করিতেন এবং সেই প্রকার শূকরের ব্যবসায় করিতে মনস্থ করিয়াছিলেন।
এই প্রকার নানা চিন্তায় প্রায় সন্ধ্যা হইয়া গেল। আমি তখন কাগজখানি রাখিয়া দিয়া অফিসের কার্য্যে মনোনিবেশ করিলাম।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
সূর্য্যদেব পশ্চিম গগনে ঢলিয়া পড়িয়াছেন। তাঁহার আর সে তেজ—সে দম্ভ নাই। কিছুক্ষণ পূর্ব্বে যে সকল জীব-জন্তু প্রজ্জ্বলিত অগ্নির ন্যায় তাঁহার কিরণজাল দেখিয়া ভয়ে ভয়ে কোন