পাতা:লুকোচুরি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
দারোগার দপ্তর, ১৯৬ সংখ্যা।

দিয়াছিল। সে যখন দেখিল, আরোহীগণ গাড়ীতে উঠিয়াছে, তখন অবশিষ্ট ঘাসগুলি তুলিয়া একটী থলিয়ার ভিতর রাখিল।

 ঘাসগুলি থলিয়ার ভিতর রাখিতে গিয়া একখানি কাগজে তাহার হস্ত স্পর্শ হইল। সে চমকিত হইয়া কাগজখানি বাহির করিল এবং সকলের সমক্ষে ফেলিয়া দিল। আমি নিকটেই ছিলাম, কাগজখানি তুলিয়া লইয়া দেখিলাম, সেই শূকরমূর্ত্তি চিহ্নিত দ্বিতীয় সাবধান পত্র। কিন্তু সে পত্রে আর সাঙ্কেতিক কোন কথা ছিল না। পত্রখানি হস্তে লইয়া আমি অনাথনাথের নিকট গমন করিলাম এবং তাহার হস্তে প্রদান করিয়া বলিলাম, “এই দ্বিতীয় সাবধানপত্র। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে, কেমন করিয়া পুলিসের ভিতর ভাড়াটীয়া গাড়ীর থলিয়ার মধ্যে পত্রখানি আসিল। আমি জানি, কোচমান নিকটে না থাকিলেও একজন কনষ্টেবল এই গাড়ীর নিকটে দণ্ডায়মান ছিল।”

 অনাথনাথ তখন কোচমানকে ঐ কথা জিজ্ঞাসা করিলেন। সে ব্যক্তি স্তম্ভিত হইয়া বলিল, “না মহাশয়, আমি এই কাগজের কথা কিছুই জানি না।”

 আমিও কনষ্টেবলকে জিজ্ঞাসা করিলাম। সে ঈষৎ হাসিল মাত্র, কিন্তু মুখে কোন কথা বলিল না। আমি সে হাসির মর্ম্ম বুঝিতে পারিলাম; তাহাকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলাম না। অনাথনাথ ও তাহার স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের দিকে চাহিতে লাগিলেন কিন্তু সাহস করিয়া আমাকে কোন কথাই জিজ্ঞাসা করিতে পারিলেন না।

 আমি তখন তাঁহাদিগকে অতি সাবধানে গৃহে যাইতে আদেশ করিয়া বিদায় দিলাম। বলিলাম, “কল্য সন্ধ্যার পর শ্যামবাজারে