৩০
দারোগার দপ্তর, ১৯৬ সংখ্যা।
যাঁহার জন্য তিনি এতক্ষণ বিলম্ব করিলেন, তাঁহাকে না লইয়াই বা গেলেন কেন?
গাড়ীখানি যেরূপ বেগে যাইতেছিল, তাহাতে আমার বড় ভাল বলিয়া বোধ হইল না। কিন্তু কি করিব, অনাথনাথের সহিত সাক্ষাৎ না করিয়া কোন কার্য্য করিতে পারিতেছি না।
কি করিব চিন্তা করিতেছি, এমন সময়ে অনাথনাথ দৌড়িয়া আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “বিমলা কোথায় গেল?”
আ। কেন, তিনি ত এই মাত্র বাড়ী গিয়াছেন। আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন?
অ। সুশীলবাবুর সহিত কথা কহিতে ছিলাম। যাহা শুনিলাম, তাহাতে স্তম্ভিত হইয়াছি।
আ। কি শুনিলেন?
অ। তিনি বলিলেন, আমার শ্বশুর মহাশয় এখনও জীবিত আছেন!
আ। তিনি কোথায় বাস করিতেছেন?
অ। সে কথা তিনি নিশ্চয় করিয়া বলিতে পারিলেন না। অনুমানে বলিলেন, ফরাসডাঙ্গায় আছেন।
আ। এ সংবাদে আপনি এত অস্থির হইতেছেন কেন?
অ। কেন? বিমলা বোধ হয় ভয়ে সেইখানেই গিয়াছে।
আ। আপনার স্ত্রী কি জানিতেন যে, তাঁহার পিতা জীবিত আছেন?
অ। আমি জানিতাম, সে জানিত না। কিন্তু এখন দেখিতেছি, আমার সমস্তই ভ্রম।
আমি বলিলাম, এখন আর সময় নষ্ট করিবার প্রয়োজন নাই।