লুকোচুরি।
৩৩
দা। আজ্ঞে না—সে সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
আ। তুমি কতদিন তাঁহার নিকট কার্য্য করিতেছ?
দা। আজ্ঞে প্রায় এক বৎসর।
আ। এতদিন বিমলাকে লইয়া যাইতে চেষ্টা কর নাই কেন?
দা। আমি দাসী মাত্র—যেমন হুকুম পাইব তেমনই কার্য্য করিব। এতদিন তিনি আমায় কোন কথা বলেন নাই, আমিও আসি নাই।
আ। অনাথনাথের শ্বশুর মহাশয় কোথায় সম্প্রতি বাস করিতেছেন?
দা। চন্দন নগরে।
আ। আমাকে লইয়া যাইতে পার?
দাসী কোন উত্তর করিল না দেখিয়া আমি পুনরায় ঐ প্রশ্ন করিলাম। দাসী বলিল, “না মহাশয়! আজ তিনি এইখানেই আছেন, আমার মনে ছিল না।”
আমি হাসিয়া উঠিলাম। পরে বলিলাম, “বেশ কথা, আমাকে তাহার নিকট লইয়া চল।”
দা। তিনি সেই নৌকাতেই ছিলেন। যদি নৌকাখানি ঘাট ছাড়িয়া না গিয়া থাকে, তাহা হইলে তিনি এখনও তথায় আছেন। আপনার ইচ্ছা হয় চলুন—গাড়ীখানি এখনও যায় নাই।
দ্বিরুক্তি না করিয়া দাসীকে লইয়া আবার আমি সেই গাড়ীতে উঠিলাম এবং অনাথনাথকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিতে বলিয়া কোচমানকে শকট চালনা করিতে আদেশ করিলাম। অর্দ্ধ ঘণ্টার মধ্যেই আমরা ঘাটে গিয়া উপস্থিত হইলাম। সৌভাগ্যক্রমে