৮
দারোগার দপ্তর, ১৯৬ সংখ্যা।
বাধা দিয়া আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনার স্ত্রী পূর্ব্বে কোথায় ছিলেন?”
অ। তাঁহার পিতার সহিত পশ্চিমে ছিলেন।
আ। পশ্চিমে? কোথায়?
অ। আজ্ঞা কানপুরে। তিনি কলিকাতায় মিলিটারি ডিপার্টমেণ্টে কর্ম্ম করিতেন। সহসা বদলি হইয়া কানপুরে গমন করেন। বিমলার তখন বিবাহ হয় নাই, সুতরাং সেও তাঁহার সহিত কানপুরে যান।
আ। বিমলা কে? আপনার স্ত্রীর নাম কি বিমলা?
অ। আজ্ঞে হাঁ।
আ। আপনার শ্বশুর পূর্ব্বে কোথায় থাকিতেন?
অ। এই বাড়ীতে।
আ। আপনার শ্বশুরকে দেখিয়াছেন?
অ। আজ্ঞে না, তাঁহার মৃত্যুর পর বিমলা পুনরায় কলিকাতায় আগমন করিলে আমাদের বিবাহ হয়।
আ। কতদিন বিবাহ হইয়াছে?
অ। ছয় মাসের অধিক নহে।
আ। সোনায় শূকরটী কোথা হইতে পাইয়াছেন?
অ। আমার শ্বশুর মহাশয়ের মৃত্যুর পর আমার স্ত্রীকে প্রায় তিন মাস কানপুরে থাকিতে হয়। শ্বশুর মহাশয় মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্ব্বে তাঁহার কয়েক জন বিশ্বাসী বন্ধুর হস্তে আপনার কন্যার লালন পালন ভার দিয়াছিলেন। তাঁহারাই উদ্যোগী হইয়া শ্বশুর মহাশয়ের বিষয়-সম্পত্তি বিক্রয় করতঃ নগদ টাকা করিয়া আমার স্ত্রীর নামে, ব্যাঙ্কে জমা দিয়াছিলেন এবং একজন বিশ্বাসী বৃদ্ধা রমণীর