সহিত কলিকাতায় পাঠাইয়া দেন। তাঁহারাই আমার স্ত্রীকে ঐ শূকরটী দিয়াছিলেন।
আ। তাঁহারা উহা পাইলেন কোথায়?
অ। আমার শ্বশুরেরই জিনিষ—তাঁহার বাক্সে ছিল। তাঁহার বন্ধুগণ আর সমস্ত দ্রব্য বিক্রয় করিয়াছিলেন কিন্তু এই শূকরটী বিক্রয় করেন নাই।
আমি আশ্চর্য্যান্বিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “কেন? যদি সকল জিনিষই বিক্রয় করিয়া থাকেন, তবে এটা রাখিলেন কেন?”
অ। দেখিতে শূকরের আকৃতি হইলেও উহা মাথায় কাঁটার ন্যায় ব্যবহার করিতে পারা যায় দেখিয়া এবং আমার স্ত্রী উহা ব্যবহার করিতে পারিবেন জানিয়া তাঁহারা ঐটী বিক্রয় করেন নাই।
আ। বেশ কথা। এখন বলুন, এই কাগজ দেখিয়া আপনার ও আপনার স্ত্রীর এত ভয় হইয়াছে কেন? আর কাগজখানিই বা কোথা হইতে পাইয়াছেন?
অ। কাল বেলা দশটার সময় আমার স্ত্রী ও তাঁহার খুড়ীমা আহার করিতে বসিয়াছেন, এমন সময়ে ডাকপিয়ন কতকগুলি পত্র দিয়া গেল। পত্র কয়খানির মধ্যে একখানি আমার স্ত্রীর নামে ছিল। অপর পত্রগুলি পাঠ করিয়া সকলের শেষে আমি সেই পত্রখানি খুলিয়া ফেলিলাম এবং ঐ শূকর-মূর্ত্তি ও সেই সাঙ্কেতিক ভাষা উভয়ই আমার নয়নগোচর হইল। আমার স্ত্রী তখনই আহার সমাপন করিয়া আমার নিকট আগমন করিলেন। আমিও তাহাকে পত্রখানি দেখাইলাম। তিনি উহা আমার হাত হইতে লইলেন এবং তখনই তাহার খুড়ীমার নিকট লইয়া গেলেন।