পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৬
লেফটেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস।

জন্য করিতে প্রস্তুত আছি। যত দিন জাহাজ এখানে আছে, তত দিন তুমি জাহাজে থাকিতে পার;—জাহাজ প্রায় তিন সপ্তাহ এখানে থাকিবে। এই সময়ের মধ্যে তুমি লণ্ডনের সকলই দেখিয়া লইতে পার।”

 সুরেশ। “মহাশয়! আপনাকে কি রূপে ধন্যবাদ প্রদান করিব জানি না। আমার পিতা যাহা কখন আমার জন্য করেন নাই। আপনি আমার জন্য তাহা করিয়াছেন। যত দিন দেহে জীবন থাকিবে তত দিন আমি আপনার নিকট কেনা হইয়া রহিলাম।

 কাপ্তেন সাহেব উচ্চ হাস্য করি সস্নেহে সুরেশের পৃষ্ঠ করাঘাত করিতে করিতে বলিলেন, “তোমার ধন্যবাদ আমি চাই না। তোমার ভাল হইলেই আমি বিশেষ সন্তুষ্ট হইব। ভবিষ্যতে তোমার ভাল হইয়াছে শুনিলে আমি প্রকৃতই সুখী হই। যদি আমায় পরামর্শ শোন, তবে এখন তুমি তোমার মাহিনার টাকা লইও না। এখন তুমি জাহাজে থাকিবে, সুতরাং তোমার এক পরসাও খরচ লাগিবে না। যখন আমরা এখান থেকে চলিয়া যাইব, যখন তুমি একাকী লণ্ডনে পড়িবে, যখন তোমাকে লণ্ডনে বাস করতে হবে, তখন তোমার অনেক টাকার দরকার হইবে। যাহা কিছু সংগ্রহ করিয়া নিজের নিকট রাখিতে পার, তাহই ভাল কারণ এ সহরে এক গাছি ঘাস পর্যন্ত বিনা মূল্যে পাইবে না।”

 কাপ্তেন সাহেবের সস্নেহ উপদেশে সুরেশের হৃদয় কৃতজ্ঞতায় পূর্ণ হইয়া গেল —তিনি কোন কথা কহিতে পারিলেন না;— তাঁহার দুই চক্ষু হইতে দয়বিগলিতধারে নয়নাশ্রু বহিতে