পাতা:লোকরহস্য-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ty লোক রহস্ত অনেক উপক্ষাস আমরা চিরকাল শুনিয়া আসিতেছি ; আমি সে সকল কথায় বিশ্বাস করি না। আমরা পূৰ্ব্বাপর শুনিয়া আসিতেছি যে, মমুন্যেরা ক্ষুদ্রজীবী হইয়াও পৰ্ব্বতাকার বিচিত্র গৃহ নিৰ্ম্মাণ করে। ঐরুপ পৰ্ব্বতাকার গৃহে তাহারা বাস করে বটে, কিন্তু কখন তাহাদিগকে ঐরাপ গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিতে আমি চক্ষে দেখি নাই । সুতরাং তাহারা যে ঐক্লপ গৃহ স্বয়ং নিৰ্ম্মাণ করিয়া থাকে, ইহার প্রমাণাভাব। আমার বোধ হয়, তাহার যে সকল গৃহে বাস করে, তাহ প্রকৃত পৰ্ব্বত বটে, স্বভাবের স্বষ্টি ; তবে তাহ বহু গুহাবিশিষ্ট দেখিয়া বুদ্ধিজীবী মমুন্যপশু তাহাতে আশ্রয় করিয়াছে ! * भश्वा-अरू উভয়াহারী। তাহারা মাংসভোজী ; এবং ফলমূলও আহার করে। বড় বড় গাছ খাইতে পারে না ; ছোট ছোট গাছ সমূলে আহার করে। মনুষ্যের ছোট গাছ এত ভালবাসে যে, আপনার তাহার চাষ করিয়া ঘেরিয়া রাখে। ঐরুপ রক্ষিত ভূমিকে ক্ষেত বা বাগান বলে । এক মনুষ্যের বাগানে অন্য মনুষ্য চরিতে পায় না । মমুষ্যের ফল মূল লতা গুল্মাদি ভোজন করে বটে, কিন্তু ঘাস খায় কি না, বলিতে পারি না । কখন কোন মনুষ্যকে ঘাস খাইতে দেখি নাই। কিন্তু এ বিষয়ে আমার কিছু সংশয় আছে। শ্বেতবর্ণ মমুষ্যেরা এবং কৃষ্ণবর্ণ ধনবান মমুষ্যের বহুযত্নে আপন আপন উদ্যানে ঘাস তৈয়ার করে । আমার বিবেচনায় উহার ঐ ঘাস খাইয়া থাকে নহিলে ঘাসে তাহদের এত যত্ন কেন ? এরূপ আমি একজন কৃষ্ণবর্ণ মমুষ্যের মুখে শুনিয়াছিলাম। সে বলিতেছিল, দেশটা উচ্ছন্ন গেল—যত সাহেব সুবো বড় মানুষে বসে বসে ঘাস খাইতেছে । সুতরাং প্রধান মনুষ্যেরা যে ঘাস খায়, তাহা এক প্রকার নিশ্চয় । কোন মনুষ্ক বড় ক্রুদ্ধ হইলে বলিয়া থাকে, আমি কি ঘাস খাই ? আমি জানি, মমুস্তুদিগের স্বভাব এই, তাহারা যে কাজ করে, অতি যত্নে তাহ গোপন করে। অতএব যেখানে তাহার ঘাস খাওয়ার কথায় রাগ করে, তখন অবশু সিদ্ধান্ত করিতে হইবে যে, তাহার ঘাস খাইয়া থাকে । - --- ময়ূন্যেরা পশু পূজা করে। আমার যে প্রকার পূজা করিয়াছিল, তাহা বলিয়াছি। অশ্বদিগেরও উহারা ঐরূপ পূজা করিয়া থাকে ; অশ্বদিগকে আশ্রয় দান করে, আহার • পাঠক মহাশয় বৃহরাঞ্চলের স্থায়শাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি দেখিয়া বিম্মিত হইবেন না। এইরূপ তর্কে মাক্ষমূলর স্থির করিয়াছেন যে, প্রাচীন ভারতবর্ষীয়ের লিখিতে জানিতেন না। এইরূপ তর্কে জেমস DD DD DDDDDD DDS BB BBDBBBS BBD DBS BB BBBB BB BBB BB S DDD এই ব্যাঘ্ৰ পণ্ডিতে এবং মচুন্তু পণ্ডিতে অধিক বৈলক্ষণা দেখা যায় না ।