পাতা:লোকরহস্য (প্রথম সংস্করণ).pdf/৯০

লোকরহস্য | প্রাণকস্ত শীঘ্রই আসিবেন । সই, আমার ও ঐ রূপ যন্ত্রণ হইতেছে। নাথের সন্দর্শন ভিন্ন আমার বাচা ভার হইয়া উঠিয়াছে । (চক্ষু মুছিয়া) গাড়ার সকল পুকুরের যদি জল ন শুকাইত, তবে এত দিন ডুবিয়া মরিতাম । হে হৃদয় বল্লভ, জীবিতেশ্বর ! হে রমণীজন মনোমোহন ! হে নিশ-শেষোন্মেষে মুখকমলকোরকোপমোত্তেজিত-হৃদসস্থা! হে অতল জলদলতলন্যস্ত রত্নরাজীবন্মহামূল্য পুরুষর তু ! হে কামিনী কণ্ঠবিলম্বিত রত্নহারাধিক প্রাণাধিক ! অ’র প্রাণ বাচে না । আমি অবলা, সরল, চঞ্চল), লিকলা, দীনা, হীন, ক্ষীণা, পীন, নবীন, শ্রীহীনা,-- আর প্রাণ বীচে ন- আর কত দিন তোমার আশপথ চীহিয়া থাকিব ? যেমন সরোববে সরোজিনী ভানুর আশা করে, যেমন কুমুদিনী কুমুদ বান্ধবের আশা করিয়া থাকে, যেমন চাতক মেঘের জলের আশা করিয়া থাকে -- আমি তেমনি তোমার আশা করিতেছি । }র্ক দিতে২) ৫যমন রাখ{ল, হারাণ গোর র আশায় দাড়াইয়া থাকে, যেমন বালকে ময়রাব দোকান হইতে লোক ফিরিবার অাশায় দাড়াইয়। থাকে, যেমন অশ্ব তৃণাঙ্গর গ্রাসকটের আশা করিয়া পাকে, হে প্রাণবন্ধো ! আমি তেমনি তোমার আশা করিয়া আছি ।