পাতা:শকুন্তলা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮৭৫).pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
শকুন্তলা।

এবং কেহ কহিতে লাগিল, হে তপস্বিগণ! মৃগয়াবিহারী রাজা দুষ্মন্ত, সৈন্য সামন্ত সমভিব্যাহারে, তপোবন সমীপে উপস্থিত হইয়াছেন; তোমারা আশ্রমস্থিত প্রাণিসমূহের রক্ষণার্থে সত্বর ও যত্নবান্ হও; বিশেষতঃ, এক আরণ্য হস্তী, রাজার রথদর্শনে সাতিশয় ভীত হইয়া, তপস্যার মূর্ত্তিমান্ বিঘ্ন স্বরূপ, ধর্ম্মারণ্যে প্রবেশ করিতেছে।

 তাপসকন্যারা শুনিয়া সাতিশয় ব্যাকুল হইলেন। রাজা বিরক্ত হইয়া মনে মনে কহিতে লাগিলেন, কি আপদ! অনুযায়ী লোকেরা, আমার অন্বেষণে আসিয়া, তপোবনের পীড়া জন্মাইতেছে। যাহা হউক, এক্ষণে ত্বরায় গিয়া নিবারণ করিতে হইল। অনসূয়া ও প্রিয়ংবদা কহিলেন, মহারাজ! আরণ্য গজের উল্লেখ শুনিয়া, আমরা অত্যন্ত ব্যাকুল হইয়াছি; অনুমতি করুন, কুটীরে যাই। রাজা ব্যস্ত হইয়া কহিলেন, তোমরা কুটীরে যাও; আমিও তপোবনপীড়াপরীহারের নিমিত্ত চলিলাম। অনসূয়া ও প্রিয়ংবদা প্রস্থানকালে কহিলেন, মহারাজ! যেন পুনরায় আমরা আপনকার দর্শন পাই। আপনকার সমুচিত অতিথিসৎকার করা হয় নাই, এজন্য আমরা অত্যন্ত লজ্জিত হইতেছি। রাজা কহিলেন, না, না, তোমাদের দর্শনেই আমার যথেষ্ট সৎকার লাভ হইয়াছে।

 অনন্তর সকলে প্রস্থান করিলেন। শকুন্তলা, দুই চারি পা