পাতা:শকুন্তলা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮৭৫).pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা।

ব্যস্ত হইয়া, সারথিকে কহিলেন, ত্বরায় রশ্মি সংযত করিয়া রথের বেগ সংবরণ কর। সারথি, যে আজ্ঞা মহারাজ বলিয়া, রশ্মি সংযত করিল।

 এই অবকাশে, তপস্বীরা রথের সন্নিহিত হইয়া কহিতে লাগিলেন, মহারাজ! এ আশ্রমমৃগ, বধ করিবেন না। আপনকার বাণ অতি তীক্ষ্ণ ও বজ্রসম, ক্ষীণজীবী অল্পপ্রাণ মৃগশাবকের উপর নিক্ষেপ করিবার যোগ্য নহে। শরাসনে যে শর সন্ধান করিয়াছেন, আশু তাহার প্রতিসংহার করুন। আপনকার শস্ত্র আর্ত্তের পরিত্রাণের নিমিত্ত, নিরপরাধীকে প্রহার করিবার নিমিত্ত নহে।

 রাজা লজ্জিত হইয়া, তৎক্ষণাৎ শরপ্রতিসংহারপূর্ব্বক, প্রণাম করিলেন। তপস্বীর দীর্ঘায়ুরস্ত বলিয়া ইন্ত তুলিয়া আশীর্বাদ করিলেন, এবং কহিলেন, মহারাজ! আপনি যে বংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন, আপনাকার এই বিনয় ও সৌজন্য তদুপযুক্তই বটে। প্রার্থনা করি আপনকার পুত্রলাভ হউক, এবং সেই পুত্র এই সসাগরা সদ্বীপা পৃথিবীর অদ্বিতীয় অধিপতি হউন। রাজা প্রণাম করিয়া কহিলেন, ব্রাহ্মণের আশীর্বাদ শিরোধার্য্য করিলাম।

 অনন্তর, তাপসেরা কহিলেন, মহারাজ! ঐ মালিনীনদীর তীরে, আমাদের গুরু মহর্ষি কণ্বের আশ্রম দেখা যাইতেছে; যদি