পাতা:শকুন্তলা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮৭৫).pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম পরিচ্ছেদ।

কার্য্যক্ষতি না হয়, তথায় গিয়া অতিথিসৎকার গ্রহণ করুন। আর, তপস্বীরা কেমন নির্বিঘ্নে ধর্ম্মকার্য্যের অনুষ্ঠান করিতেছেন দেখিয়া, বুঝিতে পারিবেন, আপনকার ভুজবলে ভূমণ্ডল কিরূপ শাসিত হইতেছে। রাজা জিজ্ঞাসিলেন, মহর্ষি আশ্রমে আছেন? তপস্বীরা কহিলেন, না মহারাজ! তিনি আশ্রমে নাই; এইমাত্র, স্বীয় দুহিতা শকুন্তলার প্রতি অতিথিসৎকারের ভার প্রদান করিয়া, তদীয় দুর্দৈবশান্তির নিমিত্ত, সোমতীর্থ প্রস্থান করিলেন। রাজা কহিলেন, মহর্ষি আশ্রমে নাই তাহাতে কোনও ক্ষতি নাই; আমি, অবিলম্বে, তদীয় তপোবন দর্শন করিয়া, আত্মাকে পবিত্র করিতেছি। তখন তাপসেরা, এক্ষণে আমরা চলিলাম, এই বলিয়া প্রস্থান করিলেন।

 রাজা সারথিকে কহিলেন, সূত! রথচালন কর, তপোবন দর্শন করিয়া আত্মাকে পবিত্র করিব। সারথি, ভূপতির আদেশ পাইয়া, পুনর্বার রথচালন করিল। রাজা কিয়ৎ দূর গমন ও ইতস্ততঃ দৃষ্টিসঞ্চারণ করিয়া কহিলেন, সূত! কেহ কহিয়া দিতেছে না, তথাপি তপোবন বলিয়া বোধ হইতেছে। দেখ! কোটরস্থিত শুকের মুখভ্রষ্ট নীবার সকল তরুতলে পতিত রহিআছে; তপস্বীরা যাহাতে ইঙ্গুলীফল ভাঙ্গিয়াছেন, সেই সকল উপলখণ্ড তৈলাক্ত পতিত আছে; ঐ দেখ, কুশভূমিতে হরিণশিশু সকল নিঃশঙ্ক চিত্তে চরিয়া বেড়াইতেছে; এবং যজ্ঞীয়-