পাতা:শর্ম্মিষ্ঠা নাটক.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সখি! এই দেখ, এ আশ্রমপদেরও কি এক অপরূপ সৌন্দৰ্য্য ! স্থানে স্থানে নানাবিধ কুসুমজাল বিকশিত হয়ে যেন স্বয়ম্বর বসুন্ধরার অলঙ্কার স্বরূপ হয়ে রয়েছে । (দীঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ)। পূর্ণি। তবে দেখ দেখি, প্রিয়সখি ! নিশানাথের এতাদৃশ মনোহারিণী প্রভায় তোমার চিত্তচকোরের কি নিরানন্দ হওয়া উচিত? দেখ, শৰ্ম্মিষ্ঠ৷ তোমাকে যে সময় কুপমধ্যে নিক্ষেপ করেছিল, তদবধি তোমার তিলদ্ধের নিমিত্তেও মনঃস্থির নাইসততই তুমি অন্যমনস্ক আর মলিন বদনে দিনযামিনী যাপন কর। সথি, এর নিগুঢ় তত্ত্ব তুমি আমাকে অকপটে বল, আমি ত তোমার অণর পর নই। বিবেচনা করূল্যে সর্থীদের দেহমাত্রই ভিন্ন, কিন্তু মনের ভাব কখনও ভিন্ন নয় । দেব। প্রিয়সথি ! আমার অন্তঃকরণ যে একান্ত বিচলিত ও অধীর হয়েছে তা সত্য বটে ; কিন্তু তুমি যদি আমার চিত্তচঞ্চলতার কারণ শুনত্যে উৎসুক হয়ে থাক, তবে বলি, শ্রবণ কর। পূর্ণি। প্রিয়সখি ! সে কথা শুনত্যে যে আমার কি পর্যন্ত লালসা, তা মুখে ব্যক্ত করা দুঃসাধ্য। দেব। শৰ্ম্মিষ্ঠ আমাকে কুপে নিক্ষেপ করলে পর, আমি অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত অজ্ঞানবস্থায় পতিতা ছিলেম, পরে কিঞ্চিৎ চেতন পেয়ে দেখল্যেম, যে চতুর্দিক কেবল অন্ধকারময়। অনস্তর আমি ভয়ে উচ্চৈঃস্বরে রোদন করতে আরম্ভ করল্যেম । দৈবযোগে এক মহাত্ম। সেই স্থান দিয়া গমন করত্যে ছিলেন, হঠাৎ কুপমধ্যে হাহাকার আর্তনাদ শুন্যে নিকটস্থ হয়ে তিনি জিজ্ঞাসা করূল্যেন, “তুমি কে? আর কি জন্যেই বা কুপের ভিতর রোদন কর্চ্যে ?” প্রিয়সখি ! তৎকালে র্তার এরূপ মধুর বাক্য শুন্যে, আমার বোধ হল্যে, যেন বিধাতা অামাকে উদ্ধার করবার জন্য স্বয়ং উপস্থিত হয়েছেন। তিনি কে, আমি কিছুই নির্ণয় করতে পারল্যেম না, কেবল ক্ৰন্দন করতে২ মুক্তকণ্ঠে এইমাত্র বলল্যেম “ মহাশয় । আপনি দেৰই হউন, বা মানৰই হউন, আমাকে এই