পাতা:শর্ম্মিষ্ঠা নাটক.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দৈবযোগে অকস্মাৎ দর্শন কর্যে ভয়ে অতিবেগে পলায়ন করে, আমিও তদ্রুপ তোমার নিকট বিদায় হয়ে দ্রুতবেগে ঘোরতর মহারণ্যে প্রবেশ করলেমূ, কিন্তু আমার চিত্তচকোর তোমার এই পূর্ণচন্দ্রাননের পুনর্দর্শনে যে কি রূপ ব্যাকুল হলো, যিনি অন্তর্যামী ভগবান, তিনিই তা বলতে পারেন। পরে আমি আতপতাপে তাপিত হয়ে বিশ্রীমার্থে এক তৰুতলে উপবেশন করল্যেস্থ, এবং চতুর্দিগে দৃষ্টি নিক্ষেপ কর্যে দেখল্যেম, যেন সকলই অন্ধকারময় এবং শূন্যাকার। কিঞ্চিৎ পরে সে স্থান হত্যে গাত্ৰোখান কর্যে গমনের উপক্রম কাচ্য, এমন সময়ে এক হরিণী আমার দৃষ্টিপথে পতিত হলো। স্বাভাবিক মৃগয়াসক্তি হেতু আমিও সেই হরিণীকে দর্শনমাত্রেই শরাসনে এক খরতর শরযোজনা করল্যেম্ ; কিন্তু সন্ধানকালে কুরঙ্গিণী আমার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করাতে তার নয়নযুগল দেখ্যে আমার তৎক্ষণাৎ তোমার এই কমলনয়ন স্মরণ হলো, এবং তৎকালে আমি এমন বলহীন আর বিমুগ্ধ হল্যেম, যে আমার হস্ত হত্যে শরাসন ভূতলে কখন যে পতিত হলো, তা আমি কিছুই জানতে পাল্যেম না। রাজ্ঞী। (রাজার হস্ত ধরিয়া এবং অনুরাগ সহকারে) হে প্রাণনাথ! আমার কি শুভদৃষ্ট !—তার পর ! রাজা । প্রেয়সি ! যদি তোমার শুভদৃষ্ট, তবে আমার কি ? প্রিয়ে ! তুমি আমার জন্ম সফল করেছে। —তার পর গমন কবৃত্যে করত্যে এক কোকিলার মধুর স্বনি শ্রবণ কর্যে অামার মনে হল্যে, যে তুমিই আমাকে কুহুরবে আহ্বান কচ্যে। রাজী | হে প্ৰাণেশ্বর ! তখন যদি সেই কোকিলার দেহে আমার প্রাণ প্রবিষ্ট হত্যে পারত, তবে যে কোকিল৷ কুহুরবে কেবল এই মাত্র বলতে, “ হে রাজন, আপনি সেই কুপতটে পুনর্গমন কৰুন আপনার জন্যে শুক্রকম্য দেবযানী ব্যাকুলচিত্তে পথ নিরীক্ষণ কচ্যে ।”