পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ ক্ষণকাল চুপ করিয়া থাকিয়া বলিল, গাড়ি ফিরিয়ে দাও, বেলা হয়েচে, আমি নদী থেকে চরণকে স্নান করিয়ে আনি । বলিয়া কোনরূপ প্রতিবাদের অপেক্ষা না করিয়া গামছা ও তেলের বাটি হাতে লইয়া চরণকে কোলে করিয়া নদীতে চলিয়া গেল। বাটীর নীচেই স্বচ্ছ ও স্বল্পতোয় নদী, জল দেখিয়া চরণ খুণী হইয়া উঠিল । তাহাদের গ্রামে নদী নাই, পুষ্করিণী আছে, কিন্তু তাহাতে নামিতে দেওয়া হয় না, স্বতরাং এ সৌভাগ্য তাহার ইতিপূর্বে ঘটে নাই। ঘাটে গিয়া সে স্থির হইয়া তেল মাখিল, এবং উপর হইতে হাটু-জলে লাফাইয়া পড়িল । তাহার পর কিছুক্ষণ মাতামাতি করিয়া স্বান সারিয়া, কোলে চড়িয়া যখন ফিরিয়া আসিল, তখন মাতাপুত্রে दिलकनं जडांद झहेम्नां श्रिीब्रां८छ् । ছেলে কোলে করিয়া কুহুম স্বমুখে আসিল। মুখ তাহার সম্পূর্ণ অনাবৃত। মাথার আঁচল ললাটে স্পর্শ করিয়াছিল মাত্র। যাইবার সময় সে মন খারাপের কথা বলিয়া গিয়াছিল, কিন্তু দুঃখ-কষ্টের আভাসমাত্রও সে-মুখে দেখিতে পাইল না। বরং সম্ভ-বিকশিত গোলাপের মত ওষ্ঠাধর চাপ-হাসিতে ফাটিয়া পড়িতেছিল। তাহার আচরণে সঙ্কোচ বা কুষ্ঠা একেবারে নাই। সহজভাবে কহিল, এবার তুমি বাও, স্নান করে এস । তারপরে ? খাবে । তারপরে ? খেয়ে একটু ঘুমোবে। তারপরে ? যাও, আমি জানিনে । এই গামছা নাও—আর দেরি ক’র না, বলিয়া সে সহাস্তে গামছাট গায়ের উপর ছুড়িয়া ফেলিয়া দিল । বৃন্দাবন গামছা ধরিয়া ফেলিয়া একবার মুখ ফিরাইয়া একটা অতি দীর্ঘশ্বাস জলক্ষ্যে মোচন করিয়া শেষে কহিল, বরং তুমি বিলম্ব করো না। চরণকে যা হোক ছুটে খাইয়ে দাও—আমাদের বাড়ি যেতেই হবে। যেতেই হবে কেন ? গাড়ি ফিরে গেলে মা বুঝতে পারবেন ? ঠিক সেইজন্যেই গাড়ি ফিরে যায় নি, একটু আগে গাছতলায় দাড়িয়ে আছে। সংবাদ শুনিয়া কুস্কমের হালিমুখ মলিন হইয়া গেল। শুকমুখে ক্ষণকাল স্থির থাকিয়া মুখ তুলিয়া বলিল, তা হলে আমি বলি, মায়ের অমতে এখানে তোমার আসাই উচিত হয়নি। তাহার গৃঢ় অভিমানের স্বর লক্ষ্য করিয়া বৃন্দাবন হাসিল, কিন্তু, সে হাসিতে Astr