পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য- १&यंश করিয়া পায়ের ধূলা লইয়া দাড়াইলে কুন্ধর শাশুড়ী কথা কহেন নাই। এবং জামাইকে উপলক্ষ করিয়া কহিয়াছিলেন, কুঞ্জনাথকে ঘর-বাড়ি বিষয়-সম্পত্তি দেখতে হবে, এখানে বোন আগলে বসে থাকলেই ত আর চলবে না ! কুম্বুমের দিক হইতে এ কথার জবাব ছিল না ; তাই সে নিরুত্তর অধোমুখে শুনিয়া গিয়াছিল। সত্যই ত! দাদা এ-দিক ও-দিক দু’দিক সামলাইবে কি করিয়া ? তখন হইতে প্রায় মাস-দুই গত হইয়াছে। ইহার মধ্যে কুঞ্জকে তাহার শাশুড়ী যেন একেবারে ভাঙিয়া গড়িয়া লইয়াছে। এখন প্রায়ই সে এখানে থাকে না। যখন থাকে, তখনও ভাল করিয়া কথা কহে না । কুমুম ভাবে, এমন মানুষ এমন হইয়া গেল কিরূপে ? শুধু যদি সে জানিত, সংসারে ইহারাই এরূপ হয়, এতটা পরিবর্তন তাহারি মত সরল অল্পবুদ্ধি লোকের দ্বারাই সম্ভব, দুঃখ বোধ করি, তাহার এমন অসহ হইয়া উঠিত না । ভাই-বোনের সে স্নেহ নাই, এখন কলহুও হয় না। কলহ করিতে কুক্কমের আর প্রবৃত্তি হয় না, সাহসও হয় না। সেদিন, এক রাত্রি বাড়িতে এক থাকিতে সে ভয়ে ব্যাকুল হইয়া উঠিতেছিল, এখন কত রাত্রিই এক থাকিতে হয়। অবগু, দুঃখে পড়িয়া তাহার ভয়ও ভাণ্ডিয়াছে। তথাপি এ-সব দুঃখও সে তত গ্রাহ করে না, কিন্তু সে যে দাদার গলগ্ৰহ হইয়া দাড়াইয়াছে, ইহাই তাহাকে উঠিতে বসিতে বিধে। রহিয়া রহিয়া কেবলি মনে হয়, হঠাৎ সে মরিয়া গেলেও বোধ করি দাদা একবার কাদিবে না—একফোটা চোখের জলও ফেলিবে না। ভবিষ্যতে দাদার এই নিষ্ঠুর ক্রটি সে তখনি নিজের চোখের জল দিয়া স্থালন করিয়া দিতে ঘরে দোর দিয়া বসে, আর সেদিন দোর খোলে না। হায় বড় ভারাতুর হইয়া উঠিলে চরণের কথা মনে করে। শুধু সেই ‘ম। মা করিয়া যখন-তখন ছুটিয়া আসে, এবং কিছুতেই ছাড়িয় যাইতে চাহে না । তাহারি হাতে একদিন সে অনেক সঙ্কোচ এড়াইয়া বৃন্দাবনকে একখানি চিঠি দিয়াছিল, তাহাতে ষে ইঙ্গিত ছিল, বৃন্দাবনের কাছে তাহ সম্পূর্ণ নিফল হইল। কারণ যে প্রত্যুত্তর প্রত্যাশা করিয়া কুক্ষম পথ চাহিয়া রহিল তাহা ত আসিলই না ছ'ছত্ৰ কাগজে লেখা জবাবও আসিল না। শুধু আসিল কিছু টাকা। বাধ্য হইয়া, নিরূপায় হইয়া কুস্কমকে তাহাই গ্রহণ করিতে হইল। কাল রাত্রে কুঞ্জ ঘরে আসিয়াছিল, সকালেই ফিরিয়া যাইবার জন্য প্রস্তুত হইয়া Ywe