পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•खिज्र अर्थोरै কেশব তেমনি নিরুত্তর-মুখে চাহিয়া রছিল ; বৃন্দাবন বলিতে লাগিল, এই জালা আমার জুড়িয়ে যাচ্ছিল ওই শিশুদের পানে চেয়ে । আজ আমি সকলের মুখেই চরণের মুখ দেখছি, সব শিশুকেই বুকে টেনে নিতে ইচ্ছে হচ্ছে—চরণ বেঁচে থাকতে ত একটা দিনও এমন হয়নি ! 'কেশব অবনত মুখে শুনিতে শুনিতে চলিতে লাগিল। পাঠশালার পোড়ো বনমালী ও তাহার ছোট ভাই জলপান ও জল লইয়া যাইতেছিল, বৃন্দাবন ডাকিয়া বলিল, বনমালী, কোথায় যাচ্ছিস্ রে ? বাবাকে জলপান দিতে মাঠে যাচ্ছি পণ্ডিত মশাই। আমার কাছে একবার আয় তোরা, বলিয়া নিজেই দুই হাত বাড়াইয়া দিয়া উভয়কেই একসঙ্গে বুকের উপর টানিয়া লইয়া পরম স্নেহে তাহাদের মুখের পানে চাহিয়া বলিল, আঃ—আঃ, বুক জুড়িয়ে গেল রে বনমালী ! কেশব, কাল বড় ভয় হয়েছিল ভাই, চরণকে বুঝি সত্যই হারালাম । না, আর ভয় নেই, আর তাঁকে হারাতে হবে না—এদের ভেতরেই চরণ আমার মিশিয়ে আছে, এদের ভেতর থেকেই একদিন তাকে ফিরে পাবো । কেশব সভয়ে এ-দিকে ও-দিকে চাহিয়া বলিল, ছেড়ে দাও হে বৃন্দাবন, ওদের মা কি কেউ দেখতে পেলে ভারি রাগ করবে। ও—তা বটে। আমি চরণকে পুড়িয়ে আসছি যে । বলিয়া ছাড়িয়া দিয়া উঠিয়া দাড়াইল । বনমালী পণ্ডিতমশায়ের ব্যবহারে লজ্জায় জড়সড় হইয়া পড়িয়াছিল, ছাড়া পাইয়া ভাইকে লইয়া দ্রুতপদে অদৃপ্ত হইয়া গেল। পণ্ডিতমশাই সেইখানে পথের উপর হাটু গাড়িয়া বসিয়া উৰ্দ্ধমুখে হাতজোড় করিয়া বলিল, জগদীশ্বর! চরণকে নিয়েছ, কিন্তু আমার চোখের এই দৃষ্টিটুকু যেন কেড়ে নিয়ো না । আজ যেমন দেখতে দিলে, এমনি যেন চিরদিন সকল শিশুর মুখেই আমার চরণের মুখ দেখতে পাই। এমনি বুকে নেবার জন্ত যেন চিরদিন দু'হাত বাড়িয়ে এগিয়ে যেতে পারি ! কেশব, শ্মশানে দাড়িয়ে যাদের গাল দিচ্ছিলে, তারা সকলেই হয়ত জোচ্চোর নন । কেশব হাত ধরিয়া বলিল, বাড়ি চল । চল, বলিয়া বৃন্দাবন অতি সহজেই দাড়াইল। দুই-এক পা অগ্রসর হইয়া বলিল, আজ আমার বাচালতা মাপ কোরো ভাই ; কেশব, মনের ওপর বড় গুরুভার চেপেছিল, এ শাস্তি আমার কেন ? জ্ঞানতঃ এমন কিছু গোঁহত্যা ব্ৰহ্মহত্যা করিনি যে, ভগবান এত বড় দণ্ড আমাকে দিলেন, আমার— কথাটা সম্পূর্ণ না হইতে কেশব উত্ততভাবে গর্জিয়া উঠিল, জিজ্ঞেস করগে ওই 象总敏 v零ー。