পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6भछग्निशिी দিই, বলিয়া কাদম্বিনী উঠিয়া গিয়া পরিপূর্ণ এবশ্বালা ভাত জানিয়া সমন্ধটা তাহার পাতে ঢালিয়া দিয়া, উচ্চ হাস্ত করিয়া কছিলেন, তবেই হয়েচে ! এ হাতীর খোরাক নিত্য যোগাতে গেলে যে আমাদের আড়ত খালি হয়ে যাৰে ! ওবলা দোকান থেকে মণ দুই মোটা চাল পাঠিয়ে দিয়ে, নইলে দেউলে হতে দেরি হবে না, তা বলে রাখছি। মৰ্ম্মান্তিক লজ্জায় কেষ্টর মুখখানি আরও ঝুঁকিয়া পড়িল। সে এক মায়ের এক ছেলে। দুঃখিনী জননীর কাছে সরু চাল খাইতে পাইয়াছিল কি না, সে খবর জানি না, কিন্তু পেট ভরিয়া খাওয়ার অপরাধে কোনদিন যে সে লজ্জায় মাথা হেটু করিতে হয় নাই তাঁহা জানি । তাহার মনে পড়িল, হাজার বেশী খাইয়াও কখন মায়ের মনের সাধ মিটাইতে পারে নাই। মনে পড়িল, এই সেদিনও ঘুড়ি-লাটাই কিনিবার জন্য দু'মুঠ ভাত বেশী খাইয়া পয়সা আদায় করিয়া লইয়াছিল। তাহার দুই চোখের কোণ বাহিয়া বড় বড় অশ্ৰুত্ব ফোটা ভাতের থালার উপর নিঃশবে বরিয়া পড়িতে লাগিল, সে সেই ভাত মাথা গুজিয়া গিলিতে লাগিল। বঁ হাতটা তুলিয়া চোখ মুছিতে পৰ্য্যন্ত সাহস করিল না, পাছে দিদির চোখে পড়ে। অনতিপূর্বেই মায়া-কার কাদার অপরাধে বকুনি খাইয়াছিল। সেই ধমক তাহার এতবড় মাতৃ-শোকেরও ঘাড় চাপিয়া রাখিল । १ পৈতৃক বা ডুটা দুই ভায়ে ভাগ করিয়া লইয়াছিল। পাশের দোতলা বাড়িটা মেজভাই বিপিনের। ছোটভায়ের অনেকদিন মৃত্যু হইয়াছিল। বিপিনেরও ধান-চালের কারবার 1 তাহার অবস্থাও ভাল, কিন্তু বড় তাই নবীনের সমান নয়। তথাপি ইহার বাড়িটাই দোতলা। মেজবোঁ হেমাঙ্গিনী সহরের মেয়ে। তিনি দাস-দাসী রাখিয়া, লোকজন খাওয়াইয়া, জাকজমকে থাকিতে ভালবাসেন। পয়সা বাচাইয়া গরীব চালে চলে না বলিয়াই বছর-চারেক পূৰ্ব্বে জুই জায়ে কলহ কবিয়া পৃথক হইয়াছিলেন। সেই অবধি প্রকাস্তে কলহ অনেকবার হইয়াছে, অনেকবার মিটাছে, কিন্তু মনোমালিন্ত একদিনের জন্যও ঘুচে নাই। কারণ, সেটা বড় জা কাদম্বিনীর একলার হাতে। তিনি পাক লোক, ঠিক বুঝতেন, ভাঙা হাড়ি জোড়া লাগে না। কিন্তু মেজবোঁ অত পাকা নয়, অমন করিয়া বুঝিতেও পারিতেন না। ঝগড়াটা প্রথমে তিনিই করিয়া ফেলিতেন বটে, কিন্তু তিনিই ኳ¢ፃ H