পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেজদিদি মা একটুখানি হালিয়া বলিলেন, ই রে ললিত, তোর মা ষে এই পাঁচ-ছ-দিন পড়ে আছে, একবারটি কাছে এসেও ত বলিস নে ! - ললিত লজ্জা পাইয়া শিয়রের কাছে আসিয়া বসিল । মা সস্নেহে ছেলের পিঠে হাত श्ब्रिां बजिप्लन, dहे अश्ध शक् िन नाटब, शनि भरद्र यांहे, कि कब्रिम् छूहे ? भूत्र কালি ? যাং-সেরে যাবে, বলিয়া ললিত মায়ের বুকের উপর একটা হাত রাখিল । মা ছেলের হাতখানি হাতে লইয়া চুপ করিয়া রহিলেন। জয়ের উপরে এই স্পর্শ র্তাহার সর্বাঙ্গ জুড়াইয়া দিতে লাগিল। ইচ্ছা করিতে লাগিল, এমন করিয়া বন্ধক্ষণ কাটান। কিন্তু একটু পরেই ললিত উস্থুল করিতে লাগিল, পুতুল-নাচ হয়ত এতক্ষণে শুরু হইয়া গিয়াছে মনে করিয়া, ভিতরে তাহার চিত্ত অস্থির হইয়! উঠিল। ছেলের মনের কথা বুঝিতে পারিয়া মা মনে মনে হাসিয়া বলিলেন, আচ্ছা যা, দেখে জায়, বেশী রাত করিসনে যেন । নামা, এন্থনি ফিরে আসব, বলিয়া ললিত ঘরের বাহির হইয়া গেল। কিন্তু মিনিটদুই পরে ফিরিয়া আসিয়া বলিল, মা, একটা কথা বলব ? মা হাসিমুখে বলিলেন, একটা টাকা চাই ত ? ঐ কুলুঙ্গিতে আছে, নি গে—দেখিস, বেশী নিস্নে যেন । না মা, টাকা চাইনে । বল, তুমি শুনবে ? মা বিস্ময় প্রকাশ করিয়া বলিলেন, টাকা চাইনে ? তবে কি কথা রে ? ললিত আর একটু কাছে আসিয়া চুপি চুপি বলিল, কেইমামাকে একবার আসতে দেবে ? ঘরে ঢুকবে না—ঐ দোরগোড়া থেকে একটিবার তোমাকে দেখেই চলে যাবে। কালকেও বাইরে এসে বসেছিল, আজকেও এসে বসে আছে । হেমাঙ্গিনী ব্যস্ত হইয়া উঠিয়া বসিলেন, বলিলেন–যা যা ললিত, এক্ষুনি ডেকে নিয়ে আয়—আহা হা, বসে আছে, তোরা কেউ আমাকে জানাসনি রে } ভয়ে আসতে চায় না যে, বলিয়া ললিত চলিয়া গেল। মিনিট-খানেক পরে কেষ্ট ঘরে ঢুকিয়া মাটির দিকে ঘাড় বাকাইয়া দেয়ালে ঠেল দিয়া দাড়াইল । হেমাঙ্গিনী ডাকিলেন, এল দাদা, এস। কেষ্ট তেমনিভাবে স্থির হইয়া রহিল । তিনি নিজে তখন উঠিয়া আসিয়া কেষ্টর হাত ধরিয়া বিছানায় লইয়া গেলেন । পিঠে হাত বুলাইয়া দিয়া বলিলেন, ই রে কেষ্ট, বকেছিলুম বলে তোর মেজদিদিকে ভুলে গেছিল বুঝি । সহসা কেষ্ট ফুপাইয়া কাদিয়া উঠিল । হেমাঙ্গিনী কিছু আশ্চৰ্য্য হইলেন, কারণ, কখনও কেহ তাহাকে কাদিতে দেখে নাই। অনেক দুঃখ-কষ্ট-যাতনা দিলেও সে ቖል® »