পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আঁধারে আলো ঝুম। সত্য সোজা উঠিয়া বসিয়া দেখিল, সেই আপাদমস্তক গহনা-পর-লক্ষ্মীঠাকরুশটির মত মেয়েটি ধীরে ধীরে কাছে ৰাপিয়া দাড়াইল । সত্য હજવૃટેિ ઝરિના ছিল। মেয়েটি মুম্বকণ্ঠে বলিল, মা আপনার মত জিজ্ঞেস করলেন। সত্য মূহুৰ্ত্ত মৌন থাকিয়া প্রশ্ন করিল, কার মা ? মেয়েটি কহিল, আমার মা ! সত্য তৎক্ষণাৎ প্রত্যুত্তর খুজিয়া পাইল না, ক্ষণেক পরে কহিল, আমার মাকে জিজ্ঞাসা করলেই জানতে পারবেন । মেঘুেটি চলিয়া যাই৩েছিল, সত্য সহসা প্রশ্ন করিয়া ফেলিল, তোমার নাম কি ? আমার নাম রাধারাণী, বলিয়া সে চলিয়া গেল । একফোটা রাধারাণীকে সজোরে ঝাড়িয়া ফেলিয়া দিয়া, সত্য এম. এ. পাশ করি৩ে কলকাতায় চলিয়া আপিয়াছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পরীক্ষাগুলি না হওয়া পর্য্যস্ত ত কোন মতেই না, খুব সম্ভব পরেও না । সে বিবাহই কপ্লিবে না । BBBS BBBB BBBB BB BBBBB BBBBD DD DDD DDDS DBC BBB S তবুও রহিয়া রহিয়া তাহার সমস্ত মনটা যেন একরকম কfরয় ওঠে, কোথাও কোন নারীমূৰ্ত্তি দেখিলেই আর একটি অতি ছোট মুখ তাহার পাশেই জাগিয়া উঠিয়া তাহাকে আবৃত করিয়া দিয়া, একাকী বিরাজ করে ; সত্য কিছুতেই সেই লক্ষ্মী প্রতিমাটিকে ভুলিতে পারে না । চিরদিনই সে নারীর প্রতি উদাসীন, অকস্মাৎ এ তাহার কি হইয়াছে যে, পথে-ঘাটে কোথাও বিশেষ একটা বয়সের কোন মেয়ে দেখিলেই তাহাকে ভাল করিয়া দেখিতে ইচ্ছা করে, হাজার চেষ্টা করিয়াও সে যেন কোনমতে চোখ fফরাইয়া লইতে পারে না। দেখিতে দেখিতে হঠাৎ হয়ত অত্যস্ত লজ করিয়া, সমস্ত দেহ বারংবার শিহরিয়া উঠে ; সে তৎক্ষণাং যে-কোন একটা পথ ধরিয়া ক্রতপদে সরিয়া যায় । সত্য সাভার কাটিয়া স্নান করিতে ভালবাসিত। তাহার চোরবাগানের বাসা হইতে গঙ্গা দূরে নয়, প্রায়ই সে জগন্নাথের ঘাটে স্নান করিতে আসিত। আজ পূর্ণিমা। ঘাটে একটু ভিড় হইয়াছিল। গঙ্গায় আসিলে সে যে উৎকণী ব্ৰাক্ষণের কাছে শুষ্ক বস্ত্র জিন্ম রাখিয়া জলে নামিত, তাহারই উদ্দেশে জাপিতে গিয়া একস্থানে বাধা পাইয়া স্থির হইয়া দেখিল, চার-পাচজন লোক একদিকে চাহিৱা ее 9