পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ সেবন করিয়া শরীরে আরাম এবং স্বাস্থ্যের উৎকর্ষতা সাধন করা হইয়াছে, এখন বাটী ফিরিয়া গিয়া স্ত্রী-পুত্র প্রভৃতির মুখ দেখিতে পারিলে শরীরের কান্তিটা সম্ভবতঃ আরো একটু বৃদ্ধি পাইতে পারিবে। এই হিসাবে আর অধিক দূর যাইতে অনেকেই মনে মনে অনিচ্ছুক হইল ; আর দুই-একদিন পরে মুখ ফুটিয়া দুই-এক জন বলিয়া ফেলিল, অনেকদিন দেশ ছেড়ে আসা হয়েছে—আপনার শরীরও সম্পূর্ণ আরোগ্য হয়েছে —এখন ফিরলে হানি কি ! স্বরেন্দ্রবাবু ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন, হানি কিছুই নাই, কিন্তু এখন ফিরব না, তোমাদের যদি বাড়ির জন্য মন খারাপ হয়ে থাকে ত তোমরা যাও । সামান্ত বাড়ির জন্য, তুচ্ছ স্ত্রী-পুত্রের জন্য মন খারাপ হইয়া যাওয়া কাপুরুষতা মনে করিয়া, যাহার কথা পাড়িয়াছিল তাহারা চুপ করিয়া গেল ! স্বরেক্সবাবু আর অন্ত কথা বলিলেন না । বজরা থামিয়া থামিয়া পুনৰ্ব্বার চলিতে লাগিল ; ভিতরে কিন্তু আর পূর্বের মত স্বখ নাই। স্বরেন্দ্রবাবু ভিন্ন অনেকেই প্রায় বিষন্নতায় সময়াতিবাহিত করিতে লাগিল। তখন দুই দিবস পূৰ্ব্বে কাপুরুষতা মনে করিয়া যাহার কথা পাড়িয়াও চাপিয়া গিয়াছিল, তাহারা পৌরুষের গৰ্ব্ব ছাড়িয়া দিয়া আবার সেই কথা পাড়িবার অবসর খুজিতে লাগিল। প্রবাসে থাকিয়া বাট যাইবার কথা-স্ত্রী পুত্রের মুখ মনে পড়িয়া সেইখানে ফিরিয়া যাইবার একবার বাসনা হইলে তাহা আর কিছুতেই দমন করিয়া রাখা যায় না । একদিবস অতিবাহিত হইতে না হইতেই মনে হয় যেন এক বৎসর কাটিয়া গিয়াছে । তাহদেরও তাহাই হইল। আর তিন-চার দিনে প্রায় সকলেই লজ্জার মাথা খাইয়া বাটী ফিরিতে ইচ্ছা প্রকাশ করিল। স্বরেন্দ্রবাবু আপত্তি করিলেন না ; তখন বজরা চন্দননগর অতিক্রম না করিতেই প্রায় সকলেই প্রস্থান করিল। তৃত্যবর্গ ভিন্ন বজরা প্রায় শূন্ত হইয়া গেল। বাহিরের লোকের মধ্যে কেবল একজন পশ্চিমাঞ্চল-নিবাসী বাদক ও একজন অনুগৃহীত নৰ্ত্তকী রহিল। বাবু তাহদের লইয়াই চলিলেন—দেশে ফিরিবার কথা একবারও মনে করিলেন না । একদিন বৈকালে স্বৰ্য অস্ত যাইবার পূৰ্ব্বেই পশ্চিমদিকে মেঘ করিয়া আসিতে লাগিল। স্বরেন্দ্রবাবু একজন মাঝিকে ডাকিয়া কহিলেন, হরিচরণ, মেঘ করে আসচে দেখচ । पत्रेांख्sि ई! ! ঝড় হবে বলে বোধ হয় কি ? 姆鲁