পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ বেলা খাওয়া আমার অভ্যাস নেই। মধ্যাহের ভোজনটা আমার সাধারণ পাঁচজনের চেয়ে কিছু বেশী—সেটা অসময়ে চা প্রভৃতি বাজে জিনিস খেয়ে নষ্ট করতে ভালবালিনে। তার চেয়ে আমি ঐ হারমনিয়মটা খুলে দুটো ভজন করি, আপনাদের झुकाजद्दे झनूरू । গান গাইবার প্রস্তাবে সরোজিনী অত্যন্ত প্রফুল্ল হইয়া উঠিল। মুখ তুলিয়া হঠাৎ বলিয়া ফেলিল, সেই ভাল। কিন্তু পরক্ষণেই অপ্রতিত হইয়া মুখ নত করিল। কথাটা তাহার নিজের কানেও কেমন শুনাইল । জ্যোতিষ হাসিয়া বলিলেন, বোনটি আমার গান পেলে আর কিছুই চায় না। নানা সতীশবাবু, আপনি— উপেন্দ্র এতক্ষণ চুপ করিয়া মনে মনে বিরক্ত হইতেছিলেন, বলিয়া উঠিলেন, ন না তবে কি ? ও স্নান না করে খায় না, সকালবেলা খায় না । আমরা ওকে ক্রমাগত সাধ্য-সাধনা করতে থাকি, আর চা’র বাটি ঠাণ্ডা জল হয়ে যাক। নে সতীশ, তোর কি ভজন-টজন আছে সেরে নে, আমার আরও কাজ আছে, বলিয়া চার বাটি মুখে তুলিয়া দিলেন। জ্যোতিষ মনে মনে অত্যন্ত আরাম বোধ করিয়া মৃদু মৃদ্ধ হাসিতে লাগিলেন । সতীশ দূরে একটা চেয়ারে বসিয়া পড়িল, ইহার পরে আর তাহার গান গাহিবার উৎসাহ রহিল না। সরোজিনী বিমর্ষ হইয়া নতমুখে চানাড়িতে লাগিলেন। উপেক্স চা খাইতে খাইতে বলিলেন, কোথাও ওকে নিয়ে যদি স্বস্তি পাওয়া যায় ! এমন ছিষ্টছাড়া স্বভাব ওর, একটা-না-একটা কিছু বাধিয়ে দেবেই। ও যে সকালবেলা গান গাইবার বদলে সানাই বাজাবার প্রস্তাব করেনি, এই ভাগ্য। কথাটার মধ্যে যে সত্যের আভাস বিন্দুমাত্রও ছিল, তাহা কেহই অম্বুমান করিতে না পারিয়া পরিহাসচ্ছলে সকলেই হাসিতে লাগিলেন। ইতিমধ্যে চা-খাওয়া চলিতে লাগিল। ওদিকে সতীশ আর চুপ করিয়া বসিয়া থাকিতে না পারিয়া ঘরের ছবিগুলি ঘুরিয়া ঘুরিয়া দেখিতে লাগিল। সন্ধ্যার পর এক সময়ে সরোজিনী আস্তে আস্তে উপেক্সকে বলিলেন, সকালে আপনি গান শুনতে দেননি, আপনার ভারি অন্যায় । উপেন্দ্র বলিলেন, আচ্ছা, এ-বেলা তার প্রতিকার হতে পারবে, আক্ষক সতীশ । জ্যোতিষ বলিলেন, বাস্তবিক উপেন, যে ঠাণ্ডা পড়েচে, কোথাও বার হতে ইচ্ছা হয় না, একটু গান-বাজনা হলে মন্দ হতো না। কিন্তু সতীশবাবু কৈ ? ডাক্তারি করতে যাননি ত ? উপেন্দ্র বলিলেন, হতেও পারে। আলাপী বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে গেছে ८दांश ट्ध्न !