পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छब्रिग्नईौन মান-ভিক্ষা, সাধাসাধি, কান্নাকাটি, বিচ্ছেদের মর্শ্বম্পর্শি অনুনয়-বিনয়, এ কাজের অবস্তম্ভাবী ব্যাপারগুলো যাহার কল্পনা-মাত্র, তাহাকে প্রতিদিন তপ্তশেলে বিধিয়া গেছে, সে-সমস্তই যে বাকী রহিল! সে কি আর একদিনের জন্ত, না, সত্যই সমস্ত নিঃশেষ হইল । হঠাৎ দুয়ার খোলার শব্দে কিরণ চকিত হুইয়া মুখ তুলিয়া দেখিল, ঝি বলিতেছে, উকুন নিবে যে জল হয়ে গেছে বৌমা ! রাতও ত কম হয়নি। কিরণময়ী তাড়াতাড়ি উঠিয়া পড়িয়া, কাছে সরিয়া আসিয়া চুপি চুপি জিজ্ঞাসা করিল, ডাক্তার আছে না গেছে রে ? সে ত প্রায় দুঘণ্টা হলো ; হাতের প্রদীপটা উজ্জল করিতে করিতে বলিল, কিন্তু তোমাকেও বলি বেীমা,—অকস্মাৎ জিহ্বা তাহার রুদ্ধ হইয়া গেল। প্রদীপটা-উচু করিয়া ধরিয়া সম্পূর্ণ নিরাভরণা বধূর সৰ্ব্বাঙ্গ বার বার নিরীক্ষণ করিয়া মেঝের উপর প্রদীপটা ধপ করিয়া দিয়া বসিয়া পড়িয়া বলিল,—এসব কি কাণ্ড বৌমা ! ՖԵ দিবাকরের বড় দুঃখের রাত্রি প্রভাত হইল । কাল সকালে সে গোপনে বি. এ. ফেল হওয়ার সংবাদ পাইয়াছিল, এবং সন্ধ্যাবেলায় তাহারই বিবাহের কথাবার্তা তাহারই ঘরের সম্মুখে দাড়াইয়া উপীনদাকে হষ্টচিত্তে পরম উৎসাহে ভট্চার্ষ্যি মহাশয়ের সহিত আলাপ করিতে শুনিয়া যথার্থ-ই সে অকপটে নিজের মরণ-কামনা করিয়াছিল। সদ্য-পুত্রহার! জননী যেমন ব্যথায় ঘুমাইয়া পড়েন, ব্যথায় জাগিয়া উঠেন, সেই হতভাগিনীর মতই আজ সে ব্যথা লইয়া ঘুম ভাঙ্গিয়া উঠিল। চোখ মেলিয়া দেখিল, ঘরের পুর্বদিকের শার্শির গায়ে আলোর আভাস লাগিয়াছে। আজ এই আলোকের সহিত সে নিজে লেশমাত্র সম্বন্ধ অনুভব করিল না। দিবসের এই প্রথম রশ্মিকণাটুকুকে যে সসন্ত্রমে গায়োখান করিয়া অভিবাদন করিয়া লইতে হয়, এ-কথা তাহার মনেও পড়িল না। পান্থশালার সম্পূর্ণ অপরিচিত অতিথির মুখের মত এই আলোক-কণাটুকুর পানে সে পরম ঔদাস্তভয়ে চাহিয়া বিছানাতেই পড়িয়া রহিল। স্বচ্ছ কাচের বাহিরে অসীম নীলাকাশ দেখা যাইতেছিল, হঠাৎ মনে হইল, এই বিরাট স্বাক্টটার কোথাও কোনো কোণে তাহার জন্য এতটুকু স্থান আছে কি না। তাহার পর যতদূর দেখা যায় তলাইয়া দেখিল, না, কোথাও নাই। স্বষ্টিকর্তা এত স্বজন করিয়াছেন বটে, কিন্তু উপরে, নীচে, আশে >及红