পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/১৩৯

চরিত্রহীন निट्जग्न चाशैव्र विन्यू-भक्रिया१ औप्लाष्ट्रेङ्क७ फेरणको कब्रिट्न बाँ, cणाउन अस्थाख्न किङ्घरे মানিবে না, স্বামীর স্বাস্থ্যটুকু অমুগণ সতর্ক প্রহরা দিয়া ফিরিবে, ব্যাপারটা মনে করিয়াও র্তাহার লজ্জা বোধ হইল। বন্ধু জ্যোতিষের বাটীতে উপস্থিত হওয়াও প্রায় তদ্রুপ। স্বরবালা বিষম হিন্দু ; এই বয়সেই রীতিমত জপ-তপ জারম্ভ করিয়াছে, —সে-বাটতে একটু অহিন্দু আচার চোখে দেখিলে হয়ত জলগ্ৰহণ পৰ্য্যন্ত করিবে না। অতবড় বাটীর মধ্যে একমাত্র মায়ের আচার-বিচার কোন কাজেই লাগিবে না । তা ছাড়া, সেখানে সরোজিনী তাহার প্রায় সমবয়সী । তাহার বাড়িতে বসিয়া তাহাকেই ছুই ছুই করিয়া বাস করা মুখের নয়, উচিতও নয় | বাকী রহিল সতীশ । উপেন্দ্ৰ শুনিয়াছিলেন, তাহার নূতন বাসায় সে একা থাকে। স্থানও ধথেষ্ট। বিশেষতঃ সেও এই জপ-তপের দলভূক্ত। সতীশ ও দিবাকর-আচারনিষ্ঠ এই দুটি দেবর লইয়া স্বরবালা ভালই থাকিবে । উপেন্দ্র তৎক্ষণাৎ সতীশকে তার করিয়া দিলেন, তিনি রওনা হইয়াছেন। ংবাদ পাইয়া সতীশ স্টেশনের উদ্দেশুে যাত্রা করিল। * = ভগবান সতীশকে যথার্থ-ই দেহ মনে বড় শক্ত করিয়া গড়িয়াছিলেন। তাই সেদিন হইতে মুমূৰু হারানের হতভাগ্য পরিবারের সমস্ত গুরুভার মাথায় লইয়া যেমন বহিতেছিল, সাবিত্ৰী বিপিনের ইতিহাসটাও সেদিন সে তেমনি সহ করিয়া লইয়াছিল। এই ইতিহাস জানিত শুধু বেহার এবং তাহার পরম পূজ্যপাদ চক্রবর্তমশাই। বেহারী মনে করিত, সে সাবিত্রীকে অত্যন্ত ঘৃণা করে। তাই কাল দুপুরবেলাতেও সে চক্রবর্তীর প্রসাদ পাইয়া ক্ষুদ্র কলিকাটি উপুড় করিয়া দিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া বলিয়াছিল, ছি, ছি, দেবতা, মেয়েটা করলে কি ! বাবুকে আমার সে চিনলে না, তাই সোনা ফেলে আঁচলে গেরো বাধলে । শেষকালে কি-না বিপিনবাবুর সঙ্গে চলে গেল ! চক্রবর্তী হেলিয়া ছলিয়া জবাব দিলেন, বেহারী নিমাই-সন্ন্যাসে লেখা আছে, ‘মনিনাঞ্চ মতিভ্রম’, না হলে সাবিত্রীর মত মেয়ে এতবড় জাহাঙ্গুকি করে ফেলবে কেন । কিন্তু এই বলে রাখছি তোকে, পস্তাতে তাকে হবেই। মেয়েটা দেখতে শুনতেও মন্দ ছিল না, আমার সঙ্গে বসে দাড়িয়ে, শুনে শুনে, বাবু-ভায়াদের সঙ্গে দুটো কথাবাৰ্ত্তী কইতেও শিখেছিল, যুবোকাল, সতীশবাবুর নজরেও লেগে গিয়েছিল, টিকে থাকতে পারলে আখেরে ভাল হ’তো । কিন্তু আমার একটা মতলব পৰ্য্যন্ত ত নিলে না । ওরে বাপু, ঘোড়া ভিজিয়ে ঘাস খেলে কি চলে ? রাজ্যের লোক ১২৯ ۹ نخست و