পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ জমিয়া উঠিয়ছিল । কেলা যে এত বাড়িয়া উঠিয়াছে তাহ কেহই নজর করে নাই । সতীশের কথায় বেলার দিকে চাহিয়া সকলেই এককালে চিষ্ঠিত হইয়া উঠিয়া দাড়াইল। সভাভঙ্গের মুখে ভূপতি জিজ্ঞাসা করিল, উপেন্দ্রবাবু তা হলে ? উপেন্দ্র বলিলেন, আমি ত বলেচি, আমার আপত্তি নেই। তবে তোমাদের স্বামীজীর উদ্দেশুটা যদি পূৰ্ব্বত্বে একটু জানা যেতো ত ভারি স্বস্তি পেতাম। নিতান্ত বোকার মত কোথাও যেতে বাধ-বাধ ঠেকে । ভূপতি কহিল, কিন্তু, কোন কথাই তিনি বলেন না ; বরং এমনও বলেন, যাহা জটিল ও দুৰ্ব্বেধা, তাহা বিশদভাবে, পরিষ্কার বুঝাইয়া বলিবার সময় ও স্ববিধ না হওয়া পৰ্যন্ত একেবারে না বলাই ভাল। ইহাতে অধিকাংশ সময়ে স্বফলের পরিবর্তে কুফলই ফলে। চলিতে চলিতে কথা হইতেছিল। এতক্ষণে সকলে বাহির হইয়া রাস্তার একধারে আসিয়া দাড়াইল । সতীশ ধরিয়া বসিল, ব্যাপারটা কি উপনদা ? উপেন্দ্রকে বাধা দিয়া ভূপতি কহিলেন, সতীশবাবু, আপনাকেও কিন্তু চাদার খাতায় সই করতে হবে। কেন, এখন আমরা ঠিক করে বলতে পারব না। পরশু অপরাহ্লে কলেজের হলে স্বামীজী নিজেই বুঝিয়ে বলবেন। সতীশ বলিল, তা হলে আমার বোঝা হলো ন ভূপতিবাবু। পরশু আমাদের পুরো রিয়ার্সেল—আমি অনুপস্থিত থাকলে চলবে না। ভূপতি আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিলেন, সে কি সতীশবাবু! থিয়েটারের সামান্ত ক্ষতির ভয়ে এরূপ মহৎ কাজে যোগ দেবেন না ? লোকে শুনলে বলবে কি ? সতীশ কহিল, লোক না শুনেও অনেক কথা বলে—সে কথা নয় । কথা আপনাদের নিয়ে । কিছু না জেনেও এই অনুষ্ঠানটিকে আপনার যতটা মহৎ বলে নিঃসংশয়ে বিশ্বাস করতে পেরেচেন, আমি যদি ততটা না পারি ত আমাকে দোষ দেবেন না। বরং যা জানি, যার ভালমন্দ কিসে হয় না-হয় বুঝি, সেটাক্ষে উপেক্ষা করে, তার ক্ষতি করে, একটা অনিশ্চিত মহুত্বের পিছনে ছুটে বেড়ানো আমার কাছে ভাল ঠেকে না । উপস্থিত ছাত্রমণ্ডলীর মধ্যে বয়সে এবং লেখাপড়ায় ভূপতিই সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বলিয়া তিনি কথা বলিতেছিলেন। সতীশের কথায় হাসিয়া বলিলেন, সতীশবাবু স্বামীজীর মত মহৎ ব্যক্তি যে ভাল কথাই বলবেন, তার উদ্দেশ্য যে ভালই হবে, এ বিশ্বাস করা তৃ শক্ত নয়। সতীশ বলিল, ব্যক্তিবিশেষের কাছে শক্ত নয় মানি। এই দেখুন না, এন্টান্স