পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छब्रिबशैनं পাশ করাও শক্ত কাজ নয়, অথচ, পাশ করা দূরে থাক, তিন-চার বৎসরের মধ্যে আমি তার কাছেও ঘেষতে পারলাম না। আচ্ছ, এই স্বামীজী লোকটিকে পূৰ্ব্বে কখন দেখেছেন কিংবা এর সম্বন্ধে কোনদিন কিছু শুনেছেন ? কেহই কিছু জানে না, তাহা সকলেই স্বীকার করিল। সতীশ বলিল, এই দেখুন, এক গেরুয়া বসন ছাড়া আর তার কোন সার্টিফিকেট নেই। অথচ আপনারা মেতে উঠেচেন এবং আমি নিজে কাজ ক্ষতি করে তার বকৃত শুনতে পারিনে বলে সবাই রাগ করচেন । ভূপতি বলিলেন, মেতে উঠি কি সাধে সতীশবাবু! এই গেরুয়া কাপড় পরা লোকগুলো সংসারকে যে অনেক জিনিসই দিয়ে গেছেন। সে যাই হোক, আমি রাগ করিনি, দুঃখ করচি। জগতের সমস্ত বস্তুই সাফাই সাক্ষীর হাত ধরে হাজির হতে পারে না বলে, মিথ্যা বলে ত্যাগ করতে হলে অনেক ভালো জিনিস হতেই আমাদের বঞ্চিত হয়ে থাকতে হয়। আপনিই বলুন দেখি, যখন সঙ্গীতের স-রে-গা-ম সাধতেন, তখন কতটুকু রসের আস্বাদ পেয়েছিলেন ? কতটুকু ভালমন্দ তার বুঝেছিলেন ? - - সতীশ কহিল, আমিও ঠিক সেই কথাই বলচি । সঙ্গীতের একটা আদর্শ যদি আমার স্বমুখে না থাকত, মিষ্ট রসাম্বাদের আশা যদি না করতাম, তা হলে এত কষ্ট করে সা-রে-গা-মা সাধতাম না। ওকালতির মধ্যে টাকার গন্ধ আপনি যদি অত করে না পেতেন, তা হলে একবার ফেল করেই ক্ষাস্ত দিতেন, বারংবার এমন প্রাণপাত পরিশ্রম করে আইনের বইগুলো মুখস্থ করতেন না। উপনদীও হয়ত একটা ইস্কুলমাস্টারি নিয়ে এতদিন সন্তুষ্ট হয়ে থাকতেন । উপেক্স হাসিতে লাগিলেন, কিন্তু ভূপতির মুখ লাল হইয়া উঠিল । একগুণ খোচা যে দশগুণ করিয়া সতীশ ফিরাইয়া দিয়াছে তাহ উপস্থিত সকলেই বুঝিতে পারিল। রোষ চাপিয়া রাখিয়া ভূপতি কহিলেন, আপনার সঙ্গে তর্ক করা বৃথা। একটা জিনিসের ভালমন্দ যে কত রকমে প্রমাণ হতে পারে, তাই হয়ত অfপনি জানেন না । কথায় কথায় সকলেই ক্রমশ: রাস্তার একধারে উবু হইয়া বলিয়া পড়িয়াছিল। সতীশ দাড়াইয়া উঠিয়া হাত জোড় করিয়া বলিল, মাপ করুন ভূপতিবাৰু ছন্ন রকম "প্রমাণ ও ছত্রিশ রকম প্রত্যক্ষে’র আলোচনা এত রোদে সন্থ হবে না। তার চেয়ে বরং সন্ধ্যার পর বাবার বৈঠকখানায় যাবেন, যেখানে দুপুর-রাজি পৰ্য্যন্ত কালোয়াতি তর্ক হতে পারবে। প্রফেসর নবীনবাবু, সদর-আলা গোবিন্দবাৰু, মায় এ-বাড়ির ভট্টাচাযিামশায় পৰ্য্যস্ত এই নিয়ে গভীর রাত পৰ্য্যস্ত চুলে চুলি