পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চরিত্রহীন চঞ্চল রাজপথের উপরে দাড়াইয়াও কিন্তু সে জারাম বোধ করিল না। মনের ভিতরটায় কেমন যেন একরকম জালা করিতেই লাগিল । - আবশ্যক হইলে কিরণময়ী যে কিরূপ উগ্রভাবে কঠিন হুইয়া উঠিতে পারে, তাহ সে একদিন দেখিয়াছিল, কিন্তু তাহার শাস্ত বিরুদ্ধতাও যে তাহ অপেক্ষ জয় কঠিন নয়, আজিকার এই গুটি-কয়েক কথাতেই সে স্পষ্ট জহুভব করিল। সতীশের সহিত তাহার যে একটা বিবাদ ঘটিয়াছে, কিরণময়ী তাহ টের পাইয়াছে বুৰা গেল। কিন্তু, কলহের কারণ যাহাই হোক, দোষ-গুণের বিচার সে নিজেই করিবে, আর কাহাকেও হাত দিতে দিবে না, এই কথাটাই ঘুরিয়া-ফিরিয়া তাহার মনের মধ্যে যাতায়াত করিতে লাগিল । Հ8 নারীর সম্বন্ধে উপেন্দ্রর মত পরিবর্তন করিবার সময় আসিয়া উপস্থিত হইল। আজ তাহাকে মনে মনে স্বীকার করিতে হইল, স্ত্রীলোক সম্বন্ধে তাহার জ্ঞানের মধ্যে মস্ত ভুল ছিল। এমন নারীও আছে যাহার সম্মুখে পুরুষের অভ্ৰভেদী শির আপনি ঝুঁকিয়া পড়ে। জোর খাটে না, মাথা অবনত করিতে হয়! এমনি নারী কিরণময়ী। সেই প্রথম পরিচয়ের রাত্রে ইহারই সম্বন্ধে উপেন্দ্র সতীশের কাছে, মুখে অন্তরূপ কহিলেও অস্তরে সকরুণ অবজ্ঞার সহিত ভাবিয়াছিল, ইহারা সেই-সব উগ্র স্বভাব রমণী-যাহারা অতি সামান্ত কারণেই জ্ঞান হারাইয়া উন্মাদের মত বিষ খাইয়া, গলায় দড়ি দিয়া ভয়ঙ্কর কাও করিয়া বলে। আজ দেখিতে পাইল, না, তাহা নয়। ইহাৱা একান্ত সঙ্কটের মধ্যেও মাথা ঠিক রাখিতে জানে, এবং লেশমাত্র উগ্র না হইয়াও অবলীলাক্রমে আপন ইচ্ছা প্রয়োগ করিতে পারে। এ-বাটতে সতীশের আল-খাওয়া উচিত-অঙ্কুচিত যাইহোক, কিরণময়ী ভাকিয়াছে, এ খবরটা সতীশকে দিতেই হইবে। এই কথাটা পথে যাইতে যাইতে লে তই আলোচনা করিতে লাগিল, ততই তাহার মন আক্ষেপে ভরিয়া উঠিল। কারণ সতীশকে সে ভালবাসিত বলিয়াই তাহার উপর আজ উপেন্দ্রর বিতৃষ্ণায় যেন অন্ত ছিল না। সে ধে অপরাধ করিয়াছে, তাহার বিচার আর একদিন হইবে, কিন্তু আজ যে সতীশ প্রকাশ্যে তাহারি মুখের উপর তাহার চিরদিনের অধিকৃত অগ্রনের সম্মানিত আসনটিকে সর্ণে মাই গেল, কোন স্যা নানিল না, সকল ক্ষণের চেয়ে এই খই উপেক্ষ মর্শ্বে ীি বিধিয়াছিল। وهو ३७ण-९*