পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कृब्रिुइँौन উপেক্স কহিল, কেন ষে তুমি ঐ মিথ্যে রাবিশ বইখানা নিয়ে প্রায়ই সময় নষ্ট কর, আমি ত ভেবে পাইনে । তার উপর কান্নাকাটি, চোখের জলের— - কথাটা শেষ হইল না। স্বরবালা চোখ মোছা ভুলিয়া রাগিয়া উঠিয়া বলিল, একশবার কি তুমি বল যে— উপেক্স কহিল, বলি যে ওর আগাগোড়া মিথ্যে । আর কিছু না । এ-সকল বিষয়ে তাহাকে রাগাইতে বেশী বিলম্ব হইত না । সে তাহার রুষ্ট আরক্ত চোখ-দুটি স্বামীর মুখের প্রতি স্থির করিয়া কহিল, মহাভারত মিথ্যে ? আমন কথাটি তুমি কখনো মুখে এনে না। এ তামাসা নয়-এতে অপরাধ হয় তা জান ? উপেন্দ্র বলিল, জানি, কিছু হয় না। আচ্ছা, ওঁদের জিজ্ঞেস কর—ওঁরাও বিশ্বাস করেন না । 驗 এবার স্বরবাল কিরণময়ীর মুখের পানে চাহিয়া ফিক্‌ করিয়া হাসিয়া ফেলিল। কহিল, শোন কথা দিদি ! তোমরা মহাভারত বিশ্বাস কর না। ওঁর ঐ রকম কথা ! যা হোক একটা বলে দিলেই হ’লো । .یr কিরণময়ী চুপ করিয়া রহিল। স্বামী-স্ত্রীর এই অদ্ভূত বাক্বিতণ্ডার সে অর্থ গ্রহণ করিতে পারিল না । তাহার মনে হইল, ইহা একটা অভিনয় এবং তাহাকেই উপলক্ষ করিয়া ইহার অন্তরালে কি একটা রহস্য প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে। - উপেন্দ্র সরোজিণীকে উদ্দেশ্য করিয়া প্রশ্ন করিল, আপনি মহাভারতের গল্পগুলো সত্য মনে করেন ? t সরোজিনী সরলভাবে বলিল, কিছু সত্য নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু আগাগোড়া সত্য কেউ মনে করে না, আমিও করিনে । স্বরবালা প্রথমে অবাকৃ হইল, তাহার পর তামাস মনে করিয়া উড়াইয়া দিতে গেল, কিন্তু সরোজিনীর আরও দুই-চারিটা কথায় এবং উপেন্দ্রর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের খোচায় অধিকতর বিস্মিত এবং ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিল, এবং দেখিতে দেখিতে তিনজনের তর্ক উদ্ধাম হুইয়া উঠিল । কিন্তু তখন পৰ্য্যন্ত কিরণময়ী একটি কথাও কহে নাই । কারণ, এইসকল বাদাম্বুবাদ পরিহাস ভিন্ন আর কিছু হইতে পারে তাহা মনে কৱিতে পারিল না। যাহার সহিত সে দর্শন লইয়া তর্ক-যুদ্ধ করিতে আসিয়াছে, সে যখন সমস্ত মহাভারতটাই অখণ্ড সত্য বলিয়া প্রমাণ করিতে কোমর বাধিয়া বসিয়াছে—এমন অচিন্তনীয় ব্যাপার সত্য বলিয়া লে কেমন করিয়া মনের মধ্যে গ্রহণ করিবে ! এদিকে তর্ক এবং কথা-কাটাকাটি অবিরাম চলিতে লাগিল। কিন্তু কিরণময়ী শুধু তীক্ষদৃষ্টিতে স্বরবাসার পানে নীরবে চাহিয়া রহিল। দেখিতে দেখিতে তাহার সন্দেহের ঘোর বাম্পের মত মিলাইয়া গেল। দেখিল স্বরবালার ” ՖՆՑ