পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छोब्रिजश्न থালায় পরিপাটি করিয়া সাজাইয়া উপেন্দ্রর সন্মুখে রাখিয়া দিয়া কছিল, ভূমি খাও, আমি বলাটা শেষ করে ফেলি। . - নাই বললেন বৌঠান । কিরণময়ী কহিল, আমি হাত জোড় করে মিনতি জানাচ্চি ঠাকুরপো, জার আমাকে বাধা দিয়ে না। সমস্ত শুনে তোমার ইচ্ছা হয় আমার শাশুড়ির সঙ্গে আমারও ভার নিয়ে, না ইচ্ছে হয়, আমার নিজের পথ আমি নিজে খুজে নেব। আমি অনেককে ঠকিয়েছি ঠাকুরপো, কিন্তু তোমাকে ঠকাতে পারব না। তবে বলুন, বলিয়া উপেন্দ্র একখণ্ড লুচি ছিড়িয়া মুখে পুরিয়া দিল। , কিরণময়ী বলিল, তোমাকে বলেচি ত ঠাকুরপো, স্বামীকে আষি ভালবাসিনি, ভালবাসা পাইনি। সেজন্য আমাদের কোন খেদ ছিল না। বাড়ির মধ্যে স্বামী জার" শাশুড়ী। একজন দার্শনিক—তিনি আমাকে প্রাণপণে পড়িয়েই খুনী, আর একজন ঘোর স্বার্থপর—তিনি প্রাণপণে আমাকে খাটিয়ে নিয়েই খুশী ছিলেন। এমনি করেই দিন কেটেছিল, এবং কেটেও যেত বোধ করি, কিন্তু হঠাৎ এক সময়ে সব উল্টে-পান্টে গেল। স্বামী অমুখে পড়লেন। র্তার কাছে আমি বই পড়েচি অনেক । নাটক নভেলও কম পড়িনি, কিন্তু দুজনেই পড়ে পড়ে শুধু হাসভূম। ভালবাসার নামগন্ধও আমাদের বাড়িতে ছিল না, তাই এক একজন লোক যেমন থাকে জন্ম-বধির জন্মান্ধ, আমার স্বামীও ছিলেন তেমনি জন্ম-নিরস। কিন্তু, আমার মধ্যে যে কত রস ছিল তা তখনও জানতে পারিনি বটে, কিন্তু এটা একদিন হঠাৎ টের পেয়ে গেলুম যে, ভালবাসার এবং তা ফিরিয়ে পাবার তৃষ্ণাটা আমারও কোন মেয়ের চেয়েই কম,–না না, এর মধ্যেই ও-গুলো অমন করে ঠেলে রাখলে চলবে না উপেন্দ্র বিরসমূখে কহিল, কেমন যেন খেতে ভাল লাগচে না বৌঠান । কিরণময়ী ক্ষণকাল মৌন হুইয়া কি যেন চিন্তা করিয়া লইয়া কহিল, আমি জানি ঠাকুরপো, আর একটু পরেই লুচি-তরকারির স্বাক্ষ তোমার জিভের উপর বিধিয়ে উঠবে, এখনো ত তার দেরি ছিল। আর একখানা খেতে পারতে। উপেক্স আরও মলিন হুইয়া গেল। কিরণময়ী তাহার প্রতি চাহিয়াই কহিতে লাগিল, যদি বলি, তোমার এই ন-খাওয়ায় স্থখটা আমার নিজের ভান হাতটা নষ্ট হওয়ার চেয়েও আমার কাছে বেশী, সে ত তুমি বিশ্বাস করতে পারবে না । কিন্তু DD BBB BBS BB D DBB BBBS BB DDBD G DB DDBBS জামাকে বলতেই হবে , , * * * * * $]}{! .