পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ कि कांछ उनि ? সতীশ কুদ্ধ হইয়া বলিল, সরো । সাবিত্ৰী সরিল না । হাসিয়া বলিল, ভগবান আপনাকে কোন গুণ থেকে বঞ্চিত করেননি দেখচি ৷ ইতিপূৰ্ব্বে জরিমানা দেওয়াও হয়ে গেছে ! সতীশ ভ্র-কুঞ্চিত করিল, কথা কহিল না । সাবিত্ৰী কহিল, এ ত আপনার ভারী অন্যায়। কোথায় কাজ করি, না-করি আমার ইচ্ছে—আপনি কেন বিবাদ করতে চান ? সতীশ বলিল, বিবাদ করি, না-করি, অামার ইচ্ছে, তুমি কেন পথ আটকাও ? সাবিত্রী হাত জোড় করিয়া বলিল, আচ্ছা একটু সবুর করুন, আমি এলে যাবেন । সতীশ ফিরিয়া গিয়া, খাটের উপর বসিতেই সাবিত্ৰী বাহিরে আসিয়া খটু করিয়া দরজায় শিকল তুলিয়া দিয়া জানালা দিয়া আস্তে আস্তে বলিয়া গেল, শাস্ত না হলে দোর খুলব না নীচে চললুম। বলিয়া সে সত্যই নীচ নামিয়া গেল। বাহিরে যাইতে না পাপিয়া সতীশ খানিকক্ষণ চুপ করিয়া বসিয়া থাকিয়া গায়ের জামাট মাটিতে ছুড়য়া ফেলিয়া দিয়া চিৎ তুষ্টয়া শুষ্টয়া পড়িল । বিপিনের সহিত তাহার আলাপ এলাহবাদে ! কলিকাতায় আসিয়া ইহা যথেষ্ট ঘনীভূত হইলেও এই বাসার মধ্যে তাহার যখন-তখন আসা-যাওয়াটা যে বাড়াবাড়িতে দাড়াইতেছিল, ইহা সে নিজেও লক্ষ্য করিতেছিল। আজ সাবিত্রীর কথায় সেই হেতুট। একেবারে স্বম্পষ্ট হুইয়া উঠিল । সতীশের বন্ধু বলিয়া এবং বড়লোক বলিয়া এ বাসায় তাহার সম্রম ছিল । সতীশের অনুপস্থিতিতেও তাছার আদর-যত্নের ত্রুটি না হয়, এ ভার সতীশ নিজেই সাবিত্রীর উপরে দিয়াছিল। এই খাতিরযত্ব বিপিনবাবু যে পুৱা-মাত্রায় আদায় করিয়া লইতেছিলেন এ সংবাদ বাসায় ফিরিয়া আসিয়া সতীশ যখন-তখন পাইতেছিল। নিজের মনের এই সরল উদারতার তুলনায় বিপিনের এই কদাকার লুব্ধতা গভীর কৃতঘ্নতার মত আজ তাহাকে বিধিল এবং সমস্ত নিমন্ত্রণ, আমন্ত্রণ, সৌহার্ঘ্য, ঘনিষ্ঠত একমুহূর্তেই তাহার কাছে বিষ হইয়া গেল। বান্ধতঃ সে চুপ করিয়া পড়িয়া রহিল বটে, কিন্তু মৰ্ম্মান্তিক আক্রোশ পিঞ্জরাবদ্ধ হিংস্র পশুর মত ক্রমাগত তাহার অন্তরের মধ্যে এ-কোণ ও-কোণ করিতে লাগিল । ঘণ্ট-খানেক পরে ফিরিয়া আসিয়া সাধিত্রী জানালার বাহির হইতে আস্তে আস্তে বলিল, রাগ পড়ল বাৰু? সতীশ জবাব দিল না। 》敏