পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ আদর্শকে তিনি খাটি রেখেছিলেন। ৰে বন্ধনে একমুহূর্তেই নিজেকে চিরদিনের ম বেঁধে ফেলেছিলেন সে-বন্ধন পাকা নয় বলে মনের মধ্যে কোন সংশয়, কোন সঙ্কোচ রাখেননি। তা যদি রাখতেন, তা হলে কালিদাস যত বড় এবং যত মধুর কয়েই লিখুন না, কোন মাহুষের হৃদয়ই এমনি করে টেনে নিতে পারতেন না। কানখানটায় আসল কথা, একটু ভাল করে ভেবে দেখ দেখি ? দিবাকরের একটা কথাও ভাল লাগে নাই। সে অসহিষ্ণু হইয়া বলিয়াছিল, আদশ যেমনই হোক, আজকালকার সমাজ একে স্বীকার করবে না। আর, সমাজে যা স্বীকৃত হবে না, তা বৈধই হোক, অবৈধই হোক, তাতে সমাজকে আঘাত করাই হবে । সমাজে থেকে সমাজকে আঘাত করা, আর আত্মহত্যা করা ত সমান , कथां । . . কিরণময়ী জবাব দিয়াছিল, ঠাকুরপো, সমাজকে আঘাত করা এবং সমাজের অবিচারকে আঘাত করা এক জিনিস নয় । তোমাকে পূৰ্ব্বেই ত বলেচি, সব জিনিসেরই একটা সত্যিকার অধিকার আছে । সমাজ উদ্ধত হয়ে যখন তার সত্যিকার সীমাটি লঙ্ঘন করে, তখন তাকে আঘাত করাই উচিত। এ আধাতে সমাজ মরে ন!—তার চৈতন্য হয়, মোহ ছুটে যায়। লেখাপড়া শেখার জন্যেই হোক, দেশের জন্যেই হোক, বিলাত যাওয়াটা সমাজ স্বীকার করেনি। এই নিয়ে একে বারংবার ঘা খেতে হয়েচে। তবু এমনি কঠিন পণ তার, আজও অহঙ্কার ত্যাগ করতে পারেনি। এতে কি তুমি সমাজের সং-বিবেচনার প্রশংসা কর ? দিবাকর বলিয়াছিল, না করিনে। ভাল মনে করার হেতু নেই বলে। কিরণময়ী কহিয়াছিল, ঠিক তাই । কিন্তু এই নিঃসংশয়ে স্পষ্ট উত্তর কোথায় পাচ্ছ ? নিজের বুদ্ধি-বিচারের কাছে নয় ত? দিবাকর উত্তেজিত হইয়া উত্তর দিয়াছিল, কিন্তু সকলেই যদি সব কাজে নিজের বুদ্ধি বিচার খাটাতে যায়, তা হলেও ত সমাজ টিকে না। কিরণময়ী বলিয়াছিল, আমি ত তোমাকে এতক্ষণ এই কথাটাই বলবার চেষ্টা কয়টি। সব কাজে নিজের বুদ্ধি খাটাতে গেলেও যেমন সমাজ থাকে না, সমাজ যদি সব সময়ে এবং সব কাজে নিজের মতটাই চালাতে যায়, তাতেও মানুষ টিকে না । মাচুবই ভুল করতে, অন্যায় করতে জানে, আর সমাজই জানেন ঠাকুরপো ? উভয়েরই সীমা নির্দিষ্ট আছে, সে সীমা মূঢ়তায় হোক, প্রবৃত্তির কোকে হোক, অন্যায় জিদের বশে হোক—যেভাবেই হোক লঙ্ঘন করলেই অমঙ্গল। লে-অমঙ্গলকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে এমন ক্ষমতা তোমাদের ভগবানেরও নেই। शिषांकब्र श्शब्र ®खरब ८कन कथाई करए नाहे । किद्रनयन्त्रौe चनंकण हुन। 総線区