পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कब्रिबशेौन সম্বন্ধ আর ঘুচে নাই। স্বামী একদিনের জন্যও জাম্বর করেন নাই, ভালৰাপিতেন কি না, একদিনের জন্যও সে কথা বলিয়া যান নাই । বাঙলা, সংস্কৃত, ইংরাজী পাঠ দিতেন, পাঠ গ্রহণ করিতেন। পাঠ মুখত করিতে ন পারিগে তিরস্কার করতেন, প্রস্থারও না করিতেন নয় । রাগ-অভিমানের পরিবর্তে কোনদিন সাধেন নাই, কাদিতে কাদিতে ঘুমাইয়া পড়িলে কোনদিন ঘুম ভাঙাই৷ খাইতে বলেন নাই—এই ত তাহার বধূ জীবনের ইতিহাস । শাশুড়ীর পরীক্ষা ছিল আরও কঠোর। সেখানে অতি ক্ষুদ্র ভুলভ্রাস্তিরও ক্ষমা ছিল না ! অঘোরময়ী তাহার রান্নাঘরের হাত-বেড়ি-খুস্তি হইতে পোড়া কাঠ পৰ্য্যন্ত সবগুলির চিহ্নই এই ছোট বঞ্চুটির দেহে অঙ্কিত করিয়া দিয়াছিলেন। একদিন কিএকটা অপরাধের শাস্তিবিধান কৰিয়া তিনি বালিকার সমস্ত চুলগুলি কাটিা ছিলেন। দুঃখে অভিমানে বধু যখন রান্নাঘরের এক কোণে মুখ ঢাকিয়া ফুলিয়া ফুলিয়া কাদিতে লাগিল তখন পিঠের উপরে জলন্ত কাঠের খোচা দিয়া অধোৱময়ী চুপ করিতে আদেশ করিলেন। সেই দগ্ধ ক্ষত আরোগ্য হইতে কিরণময়ীর এক মাস লাগিয়াছিল । হঠাৎ যেন সেই ক্ষতটাই জালা কররা উঠিল। কিরণময়ী মুহূর্তের জন্ত চঞ্চল হইয়া আবার স্থির হইয়া বসিল । কবে যে সে কৈশোর ছাড়াইয়া যৌবনে পা দিয়াছিল, এ কথা সে মনে করিতে পারে না। সেই কথা স্মরণ করাইবার কোন স্থতিই তাহার নাই। বোধ করি বা উষার মত নিঃশবেই সে প্রভাতের আলোকে ফুটিয়াছিল । যৌবনে, জ্ঞাতে, নিরহঙ্কারে দেহের কুল-উপকূল যখন সৌন্দর্ঘ্যে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিতে লাগিল, তখন সে স্বামীর সহিত স্বল্প বিচার লইয়া ব্যস্ত হইয়া রছিল। কেন বে তাঙ্কার দৈহিক নির্ধ্যাতন শেষ হইল কেন ষে সে গৃহিণী কী হইয়া উঠিল, এ-কথা লে একেবারে ভাবিয়া দেখিবার অবকাশ পাইল না। স্বামী বলিতেন, স্থখই জীবের একমাত্র লক্ষ্য এবং আর সমস্ত উপলক্ষ । দয়া, ধর্শ্ব, পুণ্য এ-সমস্তই ওই উপলক্ষ। হয় ইহকালে, নয় পরকালে ; হয় নিজের, না হয় পাঁচজনের ; হয় স্বদেশের, না হয় বিদেশের –কি উপায়ে যে মুখের সমষ্টি বাড়াইয়া তুলিতে পারা যায়—ইহাই জীবের कई, ७द१ जनिग्नांहे ८र्शक, ना छांनिब्राई cशैक, ७३ cाडेटिङई औ८वब नयख औवन পরিপূর্ণ হই থাকে ; এবং এইটিই একমাত্র তুলাদণ্ড, যাহাতে ফেলিয়া সমস্ত ভালমন্দই ওজন করিয়া দিতে পারা যায়। নিজের কি পরের সেদিকে চাহিয়ে না। কিরণ, তুমি কেবল এটি বুঝিয়া দেখিবার চেষ্টা করিবে, ইহাতে স্বখের মাত্রা বাড়ে कि नां । १¥e