পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छब्रिबिशैन কিছু আছে। অথচ এই আরো-কিছুর সন্ধান কোনদিনই খুজে পাবে না । এ তোমাকে ব্যস্ত করে রাখবে, অথচ গতি দেবে না, আকাঙ্খা জাগিয়ে তুলবে, কিন্তু পরিতৃপ্তি দেবে না। পথের গল্পই বলবে, কিন্তু কোনদিন পথ দেখিয়ে দিতে পারবে না। এইভাবে, শিক্ষা ও সংস্কারের মাঝখানে কিরণময়ী মানুষ হইয়া উঠিয়াছে,—জাজ তাহার একটি একটি করিয়া সে-কথা মনে পড়িতে লাগিল । এমনি করিয়া তাহার চিন্তার ধারা যখন বর্তমান দুঃখকে বহুদূরে অতিক্রম করিয়া অতীত দিনের অগাধ অতল দুঃখের সাগরে হাৰু-ডুবু খাইয়া মরিতেছিল, এমনি এক সময়ে কোথা হইতে দিবাকর শুষ্ক মান-মুখে কেবিনের ভিতর আসিয়া প্রবেশ করিগ। তাহাকে দেখিবামাত্রই কিরণময়ীর দুঃস্বপ্নের ঘোর এক নিমিষে কাটিা গেল । সে মুখখানি স্নেহ-হাস্তে উজ্জল করিয়া তিরস্কারের স্বরে কছিল, ব্যাপার কি বল ত ঠাকুরপো ? কি করে বেড়াচ্চে, খেতে-দেতে হবে নাকি ? আচ্ছা ছেলে বাপু । তাহার কণ্ঠস্বরে দিবাকর এতদিনের পরে একেবারে চমকিয়া গেল । অকস্থাৎ মনে পড়িল যে, কত শত সহস্ৰ বৎসর বহিয়া গিয়াছে, বৌদিদির এই কণ্ঠস্বর সে শুনিতে পায় নাই। সে স্বরে বিদ্বেষ-বিক্রপের জালা নাই, তাহা যথার্থই স্নেহের বেদনায় কোমল, মানুষের কান সেখানে ভুল করে না—কি করিয়া সে যেন চিনিতে পারে। দিবাকর অভিভূতের স্তায় চুপ করিয়া রছিল। কিরণময়ী পুনরায় মুগ্ধ হাসিয়া কছিল, সকালবেলা থেকে এতক্ষণ ছিলে কোথা শুনি ? - দিবাকর আস্তে আস্তে বলিল, নীচে। নীচে ! এতট বেল পৰ্য্যস্ত নীচে বসে কেন ? একবার উপরে এসে কিছু মুখে দিয়ে যাবারও বুঝি ফুরসং পাওনি ? প্রত্যুত্তরে দিবাকর শুধু অপলক-চক্ষে চাছিয়াই রছিল—মুখ দিয়া একটা কথাও বাহির হইল না। কিরণময়ী পুনরায় জিজ্ঞাসা করিল, কি করছিলে নীচে ? তাহার মুখের উপর জ্যেষ্ঠ ভগিনীর সেই নিৰ্ম্মল স্নেহ-হাস্ত, কণ্ঠে ভালবাসার তেমনি অনুরাগ, বাহ কলিকাতায় প্রথম আসিয়া ইহারই কাছে লাভ করিয়া দিবাকর কৃতাৰ্থ হইয়া গিয়াছিল। আনন্দে তাহার চোখে জল আসিবার উপক্রম ছইল, সে কোনমতে তাহা নিবারণ করিয়া বলিয়া ফেলিল, বৌদ্ধি, নীচে একজন বাঙ্গালী পরিবার নিয়ে আরাকানে যাচ্ছে,—র্তাদের সেখানে বাড়ি পৰ্য্যস্ত আছে— কিরণময়ী উৎস্থক হইয়া বলিল, বল কি ঠাকুরপো ? দিবাকর কহিল, সত্যি বোঁদি, বেশ লোক র্তারা— Robo تاسیس لا و