পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छब्रिखहौम আমি বলচি, তোমরা ওঁকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দাও যে, তার থাকবার আর কোন আবগুক নেই। মাতৃ-আজ্ঞা জ্যোতিষ কিভাবে পালন করিয়াছিল বলতে পারি না, কিন্তু প্রস্থানের পূৰ্ব্বে শশাঙ্কমোহন নি:সংশয়ে শুনিয়া গেলেন যে, যে-জন্ত র্তাহার আসা সে আশা লেশমাত্র নাই, সতীশই যে সেই ভাগ্যবান পাত্র, তাহাও জানিতে র্তাহার অবশিষ্ট রহিল না । সাহেবের মুখ কালো হইয়া উঠিল, কিন্তু আঘাতটা তিনি ভদ্রভাবেই গ্রহণ করিলেন । এমন কি, যাইবার সময় তিনি সরোজিনীর সহিত সাক্ষাৎ করিতেও চেষ্টা করিলেন না । - ট্রেনে উঠিয়া বসিয়া বিদায় লইবার ঠিক পূর্বক্ষণেই অত্যন্ত অকস্মাৎ জ্যোতিষকে জিজ্ঞাসা করিলেন, সতীশবাবু কোথায় যে ভক্তিারী শেখবার চেষ্টা করছিলেন, তা হয়েছে ? জ্যোতিষ মাথা নাড়িয়া কহিল, বোধ হয় না। হোমিওপ্যাথি স্কুলে কিছুদিন পড়েছিলেন মাত্র । - ও, হোমিওপ্যাথিক স্কুল ! বলিয়া শশাঙ্ক অন্য কথা পড়িলেন । سواني সহসা ভ্রাতার অমুখের টেলিগ্রাম পাইয়া জগৎতারিণীকে ভাড়াতাড়ি শান্তিপুরে যাইতে হইয়াছিল। স্বতরাং সতীশের কাছে প্রস্তাবটা উথাপন করিবার তখন সুযোগ পান নাই । আজ তাঁহাকে ভাল করিয়া খাওয়াইয়া কথাটা পাড়িবেন, মনে মনে এই সঙ্কল্প স্থির করিয়া সকালে উঠিয়াই সরকারকে নিমন্থণ করিয়া আসিতে পাঠাইয়া দিয়াছিলেন। ইতিমধ্যে এই অভাবনীয় কাণ্ড ঘটিল। যাহার আগমন সবচেয়ে অপ্রীতিকর, অকস্মাৎ সেই শশাঙ্কমোহন সকালের ট্রেনে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন শুনিয়া জগং তারিণীর বিরক্তির আর অবধি রহিল না । মামুষের অত্যন্ত কামনার বস্তু হঠাৎ বাধাগ্রস্ত হইলে তাহার সন্দেহের আর হিসাব-নিকাশ থাকে না। স্বতরাং ঠিক সেই সময়ে বাহির হইতে সরোজিনীকে আসিতে দেখিয় তাহার সর্বাঙ্গে বিষের sল দিয়া মনে হইল, শশাঙ্কর এই আকস্মিক প্রত্যাবর্তনের মধ্যে হয়ত বা এই হতভাগা মেয়েটারও কোন হাত আছে। র্তাহার ব্যারিস্টার ছেলেকে ত তিনি কোনদিনই З 4з