পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ উপেন্দ্রর এই গিনীমা সম্বন্ধে অত্যন্ত সংশয় ছিল, তাই সরোজিনীকে সেখানেই অপেক্ষা করিতে বলিয়া সোজা স্বমুখের সিড়ি দিয়া উপরে উঠিয়া গেলেন । সতীশ শয্যার উপর ঘুমাইতেছিল। তাহার শিয়রে বসিয়া সাবিত্রী জরের কাগজখান নিবিষ্ট-মনে পরীক্ষা করিতেছিল। ও-ধারের খোলা জানাল দিয়া সূৰ্য্যাস্তের আভা মেঝের উপর রাঙা হইয়া ছড়াইয়া পড়িয়াছিল। এমনি সময় দ্বারের ভারী পর্দা সরানোর শৰে সাৰিত্ৰী মুখ তুলিয়া দেখিল—একজন অপরিচিত ভদ্রলোক । শশবাস্তে মাথায় আচল তুলিয়া দিয়া উঠিয়া পড়িবার চেষ্টা করিতেই আগণ্ডক নিকটে জাসিয়া কহিলেন, আপনি উঠবেন ন-আমি উপেন । আপনি সাবিত্রী ত ? সাবিত্রী ঘাড় নাড়িয়া জানাইল, ই । কিন্তু ভয়ে, লজ্জায়, সঙ্কোচে একেবারে যেন মরিয়া গেল । উপেন জিজ্ঞাসা করিলেন, সতীশ খুমুক্ষে ? এখন কেমন জাছে ? সাবিত্ৰী পূর্বের মতই মাথা নাড়িয়া জানাইল, ভাল আছেন । উপেন্দ্র তখন ধীরে ধীরে খাটের একাংশে আসিয়া বসিলেন । নিজের কৰ্ত্তব্য তিনি পূৰ্ব্বেই স্থির করিয়া লইয়াছিলেন, বলিলেন, আমাকে সে চিঠি যে আপনিই লিখেছিলেন তা এখন বুঝতে পারচি। আমাকে আসতে বলে নিজের স্থখ-দুঃখ, ভাল-মন্দ যে আপনি কতখানি তুচ্ছ করেছিলেন, মনে করবেন না সে আমি বুঝিনি। এই ত চাই । এই ত নিজের পরিচয় ! সাবিত্ৰীয় মনে হইল, সে বুঝি স্বপ্ন দেখিতেছে। এ যুঝি আর কেহ, এ বুঝি সতীশের সে উপীনদ ৰয় । উপেন্দ্র ক্ষণকাল চুপ করিয়া থাকিয় খলিলেন, তোমার চেয়ে আমি বয়সে বড়। তোমাকে আমি সাবিত্ৰী বলে ডাকব, তুমি আমাকে দাদা বলে ডেকে ; আজ থেকে তুমি আমার ছোট বোন । সাবিত্ৰী নীরবে উঠিয়া আসিয়। গলায় আঁচল দিয়া উপেক্সর পায়ের কাছে প্ৰণাম কল্পিল এবং দুই হাত বাড়াইয়া উপেন্দ্রর জুতার ফিতা খুলিতে খুলিতে অধোমুখে প্রশ্ন করিল, আসতে এত দেরি হলো কেন ? চিঠি কি সময়ে পান নি ? উপেন্দ্র সাবিত্রীর কাজে বাধা দিলেন না । সহজভাৰে বলিলেন, লা ভাই, পাইনি । আমি পরশু পুরীতে তোমার চিঠি পেয়ে আগচি। কিন্তু তোমার যে জার একটা শক্ত কাজ বাকী রয়েচে দিদি,—কৰাটা এইখানে উপেন্দ্রর মুখে বাধিস্থ গেল । সাবিত্রী দুত-জোড়াটা একপাশে সরাইয়। রাখিয়া মোজা খুলিতে খুলিতে বলিল, কি कॉज वांदीं ? weste