পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अंब्र९-नांश्छिा-न२@झ অতিরিক্ত একটা অক্ষরও বেশী বলেছে । এই হ’লো artistic form-এর ভিতরের রহস্ত। প্রথমে হয়ত মনে হবে আমার সব কথা বলা হলো না, পাঠকেরা বোধ হয় ঠিক বক্তব্যটি ধরতে পারবে না, কিন্তু এখানেই হয় লেখকের মস্ত ভুল। না বোঝে বরঞ্চ সেও ভালো, কিন্তু বেশী বোঝাবার গরজ না লেখকের প্রকাশ পায়। বুঝলে তো ? এই জন্তেই হয়ত কেউ কেউ বলে যে মন্ট র (ঐদিলীপকুমার রায়) লেখার মধ্যে তর্কতর্কিট মাঝে মাঝে প্রবল আকার ধারণ করে। যে-পড়ে সে যদি ভেবে বোঝবার অবকাশ না পায় তো নিজের বুদ্ধির প্রমাণ পায় না। তখন রাগ করে। আমি কুড়ে মাহুষ, চিঠি লিখতে ভয় পাই, কিন্তু তুমি যদি কাছাকাছি থাকতে তো তোমার লেখার এই জায়গাগুলো দেখিয়ে দিতে পারতুম। কতবার না তোমার লেখা পড়তে পড়তে মনে হয়েছে, মণ্ট এখানটায় এমনি করে যদি শেষ করতো! আমার বয়স হয়ে গেছে, রবীন্দ্রনাথেরও বয়স হোলো ; এখন মাঝে মাঝে আশঙ্কা হয় এর পরে বাঙ্গলার উপন্যাস-সাহিত্যের স্থানটা হয়ত একটু নেমে পড়বে। তোমার উপর আমার অনেক আশা মন্ট কারণ, নোঙরামিকেই যার সাহসের পরিচয় বলে স্পৰ্দ্ধা প্রকাশ করে তুমি তাদের দলে নও । তোমার শিক্ষা ও culture এদের থেকে স্বতন্ত্র । তোমার নতুন কবিতাগুলি মন দিয়ে পড়লাম। চমৎকার হয়েছে। আচ্ছা, অরবিন্দ কি বাংলা পড়তে পারেন ? শেষ প্রশ্ন পড়তে দিলে অত্যন্ত কুদ্ধ হবেন ? জানি এইসব পড়ার সময় নেই তার,—কিন্তু পড়তে বলায় কি অপমান বোধ করবেন ? প্রবর্তকসঙ্ঘ রেগে গেছে দেখেই ভয় হয়, নইলে তার মত গম্ভীর পণ্ডিত মানুষের মতামত জানতে পারলে আমার লেখার ধারাটা হয়ত আর একটা পথ খোজে । উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে যে মানুষকে অনেক কথা শুনতে বাধ্য করা যায় এ-কথা কি শ্ৰীঅরবিন্দ স্বীকার করেন না ? যাকে হাল্কা সাহিত্য বলে তার প্রতি কি তার অত্যন্ত বিরাগ ?.. ইতি—ঐশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়