পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/৪২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্রহ . তোমার পত্র পাইলাম। বিলম্ব যে হইতেছে এবং তাহাতে যে ক্ষতি হইতেছে সে কি জানি না? তার প্রায় অধিকাংশই নূতন করিয়া লিখিতে হইতেছে। যদি ছএকমাস দেরি হয় বরং সে তাল, কিন্তু পাছে এমন করিয়া শুরু করিয়া খারাপ হইয়া শেষ হয়, সেই আমার ভয়।...” ১৩২৪ বঙ্গাব্দে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হওয়ার পর চরিত্রহীন আশাতীত সংখ্যায় বিক্রয় হয় । হেমেন্দ্রকুমার রায়ের সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র গ্রন্থে আছে : “এম. সি. সরকার থেকে যখন চরিত্রহীন’ পুস্তকাকারে প্রকাশিত হ’ল তখন সেই সাড়ে তিন টাকা দামের গ্রন্থ প্রথম দিনেই সাড়ে চারশত খও বিক্রী হয়ে যায়।” "যমুনা’ এবং ‘ভারতবর্ষ’ এই দুটি পত্রিকায় ‘চরিত্রহীন' প্রকাশ নিয়ে নানান দিক থেকে চাপ আসতে থাকে। যমুনা সম্পাদক ফণীন্দ্রনাথ পাল চরিত্রহীন প্রকাশের জন্ত উন্মুখ ছিলেন। শরৎচন্দ্রের বন্ধু প্রমথনাথ ছিলেন ভারতবর্ষের সঙ্গে । ফণীন্দ্রনাথ পালকে লেখা রেজুন থেকে ১০. ৫, ১৯১৩ তারিখের চিঠি : “..চরিত্রহীন যাতে যমুনায় বার হয় তাই আমার আন্তরিক ইচ্ছা এবং ঈশ্বরের ইচ্ছায় তাই হবে । নিশ্চিন্ত হোন। তবে শুনিতেছি, ওটাতে ‘মেসের ঝি’ থাকাতে রুচি নিয়ে হয়ত একটু খিটমিট বাধিবে। তা বাধুক। লোকে যতই কেন নিন্দ করুক না, যারা যত নিন্দ করিবে তারা তত বেশী পড়িবে। ওটা ভাল হোক মন্দ হোক একবার পড়িতে আরম্ভ করিলে পড়িতেই হইবে । যারা বোঝে না, যারা artএর ধার ধারে না তারা হয়ত নিন্দা করিবে । কিন্তু, নিন্দা করিলেও কাজ হবে। তবে ওটা Psychology এবং analysis সম্বন্ধে যে খুব ভাল তাতে সন্দেহই নেই। এবং asi asti "f Scientific Ethical Novel awa dia "teri stroes ai " ফণীন্দ্রবাবুকে চৈত্র ১৩১৯ লেখা চিঠি : “চরিত্রহীন জ্যৈষ্ঠ থেকে শুরু করুন। আমি চরিত্রহীনের জন্ত অনেক চিঠিপত্র পাইতেছি। কেহ টাকার লোভ, কেহ সম্মানের লোভ, কেহ বা দুই-ই, কেহ-বা বন্ধুত্বের অনুরোধও করিতেছেন। আমি কিছুই চাহি না—আপনাকে বলিয়াছি আপনার মঙ্গল যাতে হয় করিব—তাহা করিবই। আমি কখা বদলাই না।” - প্রমথনাথকে লেখা জ্যৈষ্ঠ ১৩২০-র চিঠি থেকে জানা যায় ; "ফণীকে আমি স্নেহ করি সত্য, কিন্তু তাই বলে যে তোমার অসন্মান ক'রে কিংবা তোমাকে উপেক্ষা ক’রে, তা সে ফণী কেন, কাহারো জন্যই সেটা আমি পারিব না। $$३