পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থ-পরিচয় পড়িয়া ফিরাইয়া দিও এবং তোমার নিতীক মতামত বলিও-তোমার মতামতের দাম আছে । কিন্তু মত দিবার সময় আমার যে গভীর উদ্দেশু আছে সেটাও মনে করিও। ওটা বটতলার বই নয়।...যদি ছাপাবার উপযুক্ত মনে হয় তাহা হইলে বলিও আমি শেষটা লিখিয়া দিব । শেষটা আমিই জানি—আমি যা তা যেমন কলমের মুখে আসে লিখি না, গোড়া থেকে উদ্বেগু ক’রে লিখি তাহ ঘটনাচক্রে বদলাইয়া যায় না।” জ্যৈষ্ঠ ১৩২• প্রমথনাথকে শরৎচন্দ্র লেখেন : “—আমি জানিতাম, ওটা তোমাদের পছন্দ হবে না এবং সে কথা পূৰ্ব্বপত্রে লিখিয়াও ছিলাম। তবে, এ সম্বন্ধে আমার এই একটু বলবার আছে, যে লোক জানিয়া শুনিয়া ‘মেসের ঝি’কে আরম্ভেই টানিয়া অনিবার সাহস করে, সে জানিয়া শুনিয়াই করে । তোমরা ওকে, ওর শেষটা না জানিয়াই অর্থাৎ সাবিত্রীকে মেসের ঝি বলিয়াই দেখিয়াছ। প্রমথ, হীরাকে র্কাচ বলিয়া ভুল করিলে ভাই ! অনেক বিশেষজ্ঞও বইটা পড়িয়া মুগ্ধ হইয়াছিল। ইহার উপসংহার জানিতে sifrig i a srbi Scientific psych, and Ethical Novel : with css এ রকম করিয়া বাঙলায় লিখিয়াছে বলিয়া জানি না । এইতেই ভয় পেলে ভাই ? কাউণ্ট টলস্টয়ের রেসারেকশন’ পড়েছ কি ? His Best Book একটা সাধারণ বেঙ্গকে লইয়া। তবে, আমাদের দেশে এখনো অতটা art বুঝিবার হয় নাই সে কথা সত্য । যা হৌক, ওটা যখন হইল না তখন এ লইয়া আলোচনা বৃথা। এবং আমারও তেমন মত ছিল না। তোমাদের ওটা নূতন কাগজ, ওতে এতটা সাহসের পরিচয় না দেওয়াই সংগত । তবে, আমারও আর অন্য উপায় নাই। আমি উলঙ্গ বলিয়া art কে ঘৃণা করিতে পারিব না, তবে যাতে এটা in strictest sense moral KR vēst Boforgt; *fR —” ১৪, ৯, ১৯১৩ ফণীন্দ্রনাথ পালকে শরৎচন্দ্র লেখেন :

  • চরিত্রহীন মাত্র ১৪১৫ চ্যাপ্টার লেখা আছে ; বাকীটা অন্যান্য খাতায় বা ছেড়া কাগজে লেখা আছে, কপি করিতে হইবে । ইহার শেষ কয়েক চ্যাপ্টার যথার্থই grand করিব । লোকে প্রথমটা যা ইচ্ছা বলুক, কিন্তু শেষে তাহাদের মত পরিবর্তিত হইবেই। আমি মিথ্যা বড়াই করা ভালবাসি না এবং নিজের ঠিক ওজন না বুঝিয়াও কথা বলি না, তাই বলিতেছি, শেষটা সত্যই ভালো হইবে বলিয়াই মনে করি। আর moral হৌক immoral হোক, লোকে যেন বলে, “হ্যা একটা লেখা বটে।” আর এতে আপনার বদনামের ভয় কি ? বদনাম হয় ত আমার ! তাছাড়া কে বলিতেছে আমি গীতার টীকা করিতেছি ? “চরিত্রহীন" এর নাম —

83 (t