পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/৪২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ তখন পাঠককে ত পূৰ্ব্বাহেই আভাস দিয়াছি—এটা স্বনীতি সঞ্চারিণী সভার জন্যও নয়,স্কুল পাঠ্যও নয়। টলস্টয়ের ‘রেসারেকৃশন তাহারা একবার যদি পড়ে তাহ হইলে চরিত্রহীন সম্বন্ধে কিছুই বলিবার থাকিবে না। তাছাড়া ভাল বই, যাহা art হিসাবে, psychology হিসাবে বড় বই, তাহাতে দুশ্চরিত্রের অবতারণা থাকিবেই থাকিবে । কৃষ্ণকান্তের উইলে নাই ?” ১৮১৩ মে মাসে শরৎচন্দ্র প্রমথনাথকে লেখেন : 鼎 “আমার “চরিত্রহীন" তোমাদের বদনামের গুণে সাংঘাতিক ক্ষতিগ্রস্ত হইতে asonics, offs, oth on telegraph of to “Charitrahin creating alarming situation,” আমি জিজ্ঞাসা করি কি আছে ওতে ? একজন ভদ্রঘরের মেয়ে যে-কোন কারণেই হোক, বাসায় বি-বৃত্তি করিতেছে —(character unquestionable নয়) আর একজন ভদ্র যুবা তারই প্রেমে পড়িতেছে—অথচ শেষ পৰ্য্যন্ত এমন কোথাও প্রশ্রয় পাইতেছে না। অথচ রবিবাবুর 'চোখের বালি' ভদ্রঘরের বিধবা নিজের ঘরের মধ্যে এমন কি আত্মীয়-কুটুম্বের মধ্যে নষ্ট হইতেছে— কেহ কথাটি বলে নাই । (কৃষ্ণকাস্তের উইলে রোহিণীকে মনে পড়ে ?) --অর আমার ‘চরিত্রহীন যত অপরাধে অপরাধী ? যারা ইংরেজ, ফ্রেঞ্চ কিংবা জার্মান নভেল পড়িয়াছে তাহারা অবশু বুঝিবে ইহা সত্যই immoral কিনা। যাই হৌক, আমি এখনও স্বীকার করি না যে "চরিত্রহীনে একবর্ণও immorality আছে। কুরুচি থাকিতে পারে, কিন্তু যা পাচজন বলিতেছে তা নাই। তবুও নাম দিয়াছি ‘চরিত্রহীন', এর মধ্যে কুলকুণ্ডলিনী জমাইয়া তুলিব অবগু এ আশা করিতেই পারি না। যাহার ইচ্ছা হয় পড়িবে, যাহার নামটা দেখিয়া ভয় হইবে, সে পড়িবে না।” অভাগীর স্বর্গ ১৩২৯ বঙ্গাব্দে মাঘ সংখ্যা বঙ্গবাণী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হুর। "হরিলক্ষ্মী" নামক পুস্তকের অন্তভূক্ত হয়ে পুস্তকাকারে প্রথম প্রকাশ হয় ১৩ মার্চ, ১৯২৬ (চৈত্র, ১৩৩২ বঙ্গাব্দ ) ।

  1. লালু - পূজাবার্ষিকী সোনার কাঠিতে ১৩৪৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়। বৈশাখ ১৬৪৫ বঙ্গাৰে (এপ্রিল ১৯৩৮ খ্ৰীষ্টাৰে) ছেলেবেলার গর অন্তভুক্ত হয়ে প্রথম প্রকাশিত হয় । ,

(একাদশ সম্ভার সমাপ্ত ) 8 5 es