পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ দিবাকল্পও প্রভত হইল। কিন্তু অফিসের সম্মুখে জাসিয়া ঠাকুরগুজা না করিবার কথা স্মরণ হইবামাঞ্জ সে খামিয়া দাড়াইল । একজন জিজ্ঞাসা করিল, দাড়ালে যে ? দিবাকর সংক্ষেপে উত্তর করিল, আজি ৰাক্ । থাকবে কেন, এল না, জাজই দেখে নিই। না থাক, বলিয়া সে ফিরিয়া গেল। হাজিরি সম্বন্ধে মনে মনে তাহার যথেষ্ট সন্দেহ ছিল, সেই সন্দেছের মীমাংসা করিবার সাহস আজিকার দিনে তাহার কোনমতেই হইল না । খাইয়া না আসিলেও তাহাৰু, বাটা ফিরিবার তাড়া ছিল না। নানা কারণে জাজ ক্ষুধা ছিল না। ছুটির পরে কলেজের ফটকের নিকটে আসিয়া দেখিল, তাঁহাদের বি. এ. ক্লাসের ছাত্রের দল দূরে দাড়াইয়া তর্ক-কোলাহল করিতেছে, দিবাকর জগুলিকে মুখ ফিরাইয়া লরিয়া গেল এবং যে পথটা বরাবর গঙ্গায় গিয়া পড়িয়াছে, সেইদিকে চলিয়া গেল। ভাঙা বাধানো স্বাট মৃতের কঙ্কালের মত পড়িয়া আছে। একদিন যে ইহার দেহ ছিল, রূপ ছিল, প্রাণ ছিল, স্থানে স্থানে ইটের ভগ্নকূপ সেই কথাই বলে, আর কিছুই বলে না । কবে, কে বাধাইয়াছিল, কে জাসিয়া शनि७, कांशग्रां त्रांम कब्रि७, ८कांन जांचका बिछबांब नाहे । शैौरउम्र जैौfअंक्र छांशंब्रि এক প্রাস্ত দিয়া অবিশ্রাম একটানা স্রোতে সমূত্রে চলিয়াছে। তীরে পলির উপরে যবের শীষ মাথা তুলিয়া খোঁত্রের উত্তাপ ও গঙ্গার বায়ু গ্রহণ করিতেছে। তাছারি একধারে বালুময় সঙ্কীর্ণ পথ দিয়া দিবাকর ঘাটে জালিয়া দাড়াইল। একদিকে ছোট একখণ্ড ইষ্টকর্তৃপের উপর জুতা খুলিয়া রাখিল, পিয়াণ খুলিয়া ভারী ৰাধান বইগুলা চাপা দিল । তাহার পরে জলে নামিয়া হাত-মুখ ধুইয়া মাথায় গঙ্গাজলের ছিটা দিয়া অভুক্ত গৃহদেবতাকে স্মরণ করিল। আগাগোড়া সমস্ত মন্ত্র সাবধানে আবৃত্তি করিয়া গঙ্গায় জলগণ্ডুব ভাসাইয়া দিয়া প্ৰণাম করিয়া যখন সে উঠন্ন দাড়াইল, তখন তাহার হৃদয়ের তার অনেক লঘু হইয়া গিয়াছে। জামা গায়ে দিয়া, জুতা পরিয়া, বই লইয়া যখন সে চলিয়া গেল তখনো একটু বেল ছিল। তখনো হিন্দুস্থানী রমণীরা ঘাটের একাস্তে মাথায় সাজিমাটি ঘষিতেছিল।