পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छब्रिज्ञईौन সতীশ মুখ তুলিয়া বলিল, না। কিন্তু চোখ দুটি ত ঘুমে ঢুলে আসচে দেখচি । বাস্তবিকই তাহার অত্যন্ত ঘুম পাইতেছিল। গত রাত্রির উচ্চুম্বল অত্যাচার জাজ অসময়েই তাহার চোখের পাতা দুটিকে ভারি করিয়া আনিতেছিল, সে সলঙ্গ-হাস্তে কবুল করিয়া বলিল, ই, ভারি ঘুম পাচ্চে। সাবিত্ৰী জিজ্ঞাসা করিল, আর কিছু চাই কি ? সতীশ তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিল, কিছু না, কিছু না ; আমার খাওয়া হয়ে গেছে। বাহিরে পায়ের শব্দে সাবিত্রী টের পাইল, মোক্ষদা জাসিয়া দাড়াইয়াছে ; বলিল, বাৰু, আমাকে একখানি ঢাকাই শাড়ি কিনে দিতে হবে। সে কোনদিনই কিছু চাহে না, সুতরাং এ-কথার তাৎপৰ্য্য বুঝিতে না পারিয়া সতীশ আশ্চৰ্য্য হইয়া গেল। সে মোক্ষদার আগমন টের পায় নাই। মুখ তুলিয়া সবিস্ময়ে বলিল, সত্যি চাই ? সত্যি বই কি ? পরবে কখন ? আজ পরবার সময় নেই বলে কোনও দিন সময় হবে না, এমন কি কথা আছে। তা ছাড়া আর একটি কথা ; আমি খেটে খাই বলে মাসি দুঃখ করেছিলেন, তাই মনে কচ্চি আর খেটে খাবো না—এখন থেকে বসে বসে খাবো । সতীশ হাসিয়া বলিল, বেশ ত । - শুধু বেশ হলেই ত হবে না, ওই সঙ্গে একটি দাসী না হলেও আর মান থাকচে নী— তাও আপনাকে রেখে দিতে হবে। আপনাকেই—কথাটা সে শেষ করিতে পারিল না, মুখে জাচল গুজিয়া দিয়া উৎকট হাসির বেগ রোধ করিতে লাগিল। মোক্ষদা কাচা লোক নহে। সে এক মুহূর্তে সমস্তটা বুঝিয়া লইয়া ঘরে ঢুকিয়া বলিল, বাৰু বুঝি সাবিত্রীকে চেনেন ? সাবিত্রীর দিকে ফিরিয়া বলিল, মাসির সঙ্গে এতক্ষণ বুঝি তামাসা হচ্ছিল ? তা এ তো ভালো কথা, আহলাদের কথা! আগে বললেই ত চুকে যেত! বলিয়া হাসিয়া বাহির হইয়া গেল । o আহারান্তে সতীশ আর একবার শয্যায় আসিয়া বসিল । সাবিত্ৰী ডিবা ভরিয়া পান আনিয়া দিল এবং বাধা হকায় তামাক সাজিয়া আনিয়া সতীশের হাতে দিয়া পায়ের কাছে মাটিতে বসিয়া পড়িয়া হঠাৎ একটুখানি হাসিয়া মুখ নীচু করিল। সতীশের বুকের মধ্যে বড় বহিতে লাগিল। সৰ্ব্বদেহে কাটা দিয়া যেন শীত করিয়া উঠিল। ক্ষশকালের নিমিত্ত তাহার ছক টানিবার শক্তিটুকু পৰ্যন্ত 哈勒